
১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৭:২৪
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দিন-দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বড়লেখা কার্যালয়ের প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গত সোমবার দুপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বড়লেখা কার্যালয়ের অস্থায়ী মালামাল রাখার শেডে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কোনো কারণ জানা যায়নি।
দিন-দুপুরে কীভাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের স্যানিটারি শেডে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তদন্ত ছাড়া এই মুহূর্তে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তাই অগ্নিকান্ডের কারণ উদ্ঘাটনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বড়লেখা কার্যালয়ের অস্থায়ী শেডে আগুনের ফুলকি দেখতে পান অফিসের কর্মচারীরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অস্থায়ী শেডে রাখা ১৪টি মোবাইল টয়লেট, ১ হাজার লিটারের ৫টি পানির ট্যাংক, অস্থায়ী শেডসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে যায়। খবর পেয়ে বড়লেখা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এর আগেই সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বিকেলে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরআগে দুপুরে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার, সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বড়লেখা কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন বলেন, আমি উপজেলা পরিষদে তারুণ্যের উৎসব বির্তক অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। হঠাৎ আমাদের মালামাল রাখার অস্থায়ী শেডে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন লাগের পাশেই জালালাবাদ গ্যাসের একটি পয়েন্ট ছিল। তবে এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের কোনো কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আপনার মন্তব্য