সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ২১:৫২

হবিগঞ্জে বাসায় চুরি: উদ্ধার হয়নি মালামাল, গ্রেপ্তারও নেই

হবিগঞ্জ শহরের ঘাটিয়া আবাসিক এলাকার একটি বাসার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয়নি কেউ।

 গত ৯ জানুয়ারি এলাকার চন্দ্রমী-১২ নম্বর বাসায় এ চুরির ঘটনা ঘটে।

পরিবারের সদস্য রূপম দাস জানান, পারিবারিক প্রয়োজনে তারা কয়েকদিন বাসার বাইরে ছিলেন। এসময় এক দুসম্পর্কের আত্মীয়কে তালাবদ্ধ বাসার দেখাশোনা করতে বলেছিলেন। ১০ জানুয়রি তারা ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভাঙা।

তিনি জানান, চোরের দল বাসা থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৫ ভরি রূপা, নগদ সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা, ১০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ডসহ প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। গত ৯ জানুয়ারি রাতের কোন এক সময় ওই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১০ তারিখ বাসায় ফিরে দরজা ধাক্কা দিলে তারা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন।

এ ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি হবিগঞ্জ মডেল থানায় চুরির বিষয়টি জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন রূপম দাস। এর পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করলেও আর কোনো অগ্রগতি নেই। আটক হয়েনি কোনো চোর, উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া মালামালও।

রূপম দাসের স্ত্রী মাধুরী জানান, মোট ৩ টি ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। অনুমান করা হচ্ছে বাসার দুতলা ছাদ দিয়ে কাঠের দরজা খোলে চোরেরা নিচে আসে এবং যে দুরুমে জিনিস ছিল সেই দু 'রুমের দরজার দরজা ভেঙে কাঠের ও স্টিলের আলমিরা ভেঙে স্বর্ণালংকার, নগদটাকাসহ সব নিয়ে যায়।

আরেকটি রুম তালাবদ্ধ ছিল কিন্তু সেই রুমে কিছু ছিল না। সম্ভবত চোরেরা সেটা জানত। তারা সেই রুমে প্রবেশ করেনি।

 চুরির ঘটনার নয় দিন পেরিয়ে গেলেও মালামাল উদ্ধার ও চোর আটক না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তাহীনতা ও অসহায়ত্বে ভূগছি, কিন্তু কার কাছে বলব? শহরের মানুষও নিরাপদে নেই।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হবিগঞ্জ চৌধুরীবাজার পুলিশ ফাড়ির সাব ইন্সপেক্টর মোঃ সিরাজুল মওলা জানান, চুরির ঘটনায় হবিগঞ্জ মডেল থানার একটি টিমসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকার আশপাশের লোকজনকে  জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেল ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্টানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুতই চোর সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত