
১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ২০:২০
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের নাইয়াদাঁড়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ৯ বছরেও নতুন সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ১০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে আছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি)সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সেতুর মুখ পর্যন্ত পাকা সড়ক থাকলেও সেতুর অধিকাংশ ভেঙে নদীতে পড়ে আছে। আর বাকি অংশটা নদীর মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের প্রভাকরপুর-নন্দীরগাঁও মসজিদ সড়কের নাইয়াদাঁড়া নদীর ওপর ২০০০ সালের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এ সেতু দিয়ে ইউনিয়নের প্রভাকরপুর, নন্দিরগাঁও, মোহাম্মদপুর, ইসলামপুর, হামিদপুর, বনগাঁওসহ ১০ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে আসছিলেন। ২০১৬ সালে নদীর প্রবল ¯্রােতে সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর বন্ধ হয়ে যায় ওই সড়কে যান চলাচল। সেই থেকে এলাকাবাসী নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
প্রভাকরপুর গ্রামের বাসিন্দা রাসেল বক্স জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর এলাকাবাসী বারবার নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও কোন সুফল মিলেনি। ফলে দেড় কিলোমিটার জায়গা ঘুরে কাঁচা রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। সেতুটি নির্মাণ করা হলে যাতায়াত সহজ হতো।
পাটলী ইউনিয়ন উইমেন্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীর সায়মা আক্তার বলেন, গাড়িতে চড়ে যেখানে ৫ মিনিটে যাওয়া যেতো, সেখানে এখন প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটা লাগে। মেঘ-বৃষ্টির সময় কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (ইউপি সদস্য) ছায়াদ মিয়া বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে ভাঙা সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যে কারণে ইউনিয়নের ১০ গ্রামের লোকজন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।ওই সেতু দিয়ে উপজেলা সদর, ইউনিয়ন পরিষদ, রসুলগঞ্জ বাজার ও স্কুল -কলেজের যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এলজিইডির কর্মকর্তাদের সেতু নির্মাণের জন্য বলা হয়েছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আপনার মন্তব্য