ধর্মপাশা প্রতিনিধি

০৪ মার্চ, ২০১৬ ১৯:২৯

ধর্মপাশায় দুই শিক্ষিকাকে মারধর করলেন আ. লীগ নেতার ভাই

শিক্ষিকা মনি রানী তালুকদারের পিঠে কলমের আঘাতের দাগ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় দুই শিক্ষককে মারধর করেছেন আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়ের লোকজন। বৃহস্পতিবার সুখাইড রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও সরকারি বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনীন্দ্র চন্দ্র তালুকদারের ছোট ভাই সর্বানন্দ তালুকদার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি তার দলবল নিয়ে বিদ্যালয়ে যান। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিপালী রানী দাস তখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পাঠদানে ব্যস্ত। সভাপতি শিক্ষককে পাঠদান বন্ধ করে বিদ্যালয় থেকে চলে যেতে বলেন।

এ কথা না শোনায় সভাপতির নির্দেশে বিমল, কমল, সন্তোষ, লিটন, রেন্টুসহ সবাই শিক্ষককে ব্যাপক মারধর করে। পাশের কক্ষ থেকে সহকারী শিক্ষক মনি রানী তালুকদার প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। সভাপতির লোকজন তাকেও বেধড়ক মারধর করে।

এ সময় সভাপতির লোকজন শিক্ষক হাজিরা খাতা নিয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা ছিঁড়ে ফেলে। আহত দুই শিক্ষক ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক দিপালী রানী দাস বলেন, বিদ্যালয়ের বিস্কুট বিতরণ, বিদ্যালয় উন্নয়ন কাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভাপতির সঙ্গে মতবিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সভাপতি আমাকে বিদ্যালয়ে থেকে চলে যেতে বলেন। আমি চলে না যাওয়ায় সভাপতি ও তার লোকজন আমাকে মারধর করে।

সর্বানন্দ তালুকদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার লোকজন কাউকে মারধর করেনি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকেয়া আক্তার খাতুন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত