জামালগঞ্জ প্রতিনিধি

০৭ মার্চ, ২০১৬ ১৯:৫৯

জামালগঞ্জে বিল শুকিয়ে মাছ শিকার, সেচসঙ্কটে কৃষকরা

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ জলমহালে মেশিন দিয়ে তলা শুকিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে এক শ্রেনীর অ-সাধু ইজারাদার ও সাব-ইজারাদারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, ফেনারবাক ইউনিয়নের চাটনী বিলের সাব-ইজারাদার আওয়ামীলীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। স্থানীয় সাংবাদিকরা জলমহালের ছবি তুলতে গেলে বাধা প্রদান আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা ওয়াসিম।
 
ইজারাদার এলাকার প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ নেতার ভাতিজা হওয়ায় স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর দেখে ও না দেখার ভান করছেন। আর বিলের পাড়ের মৎস্যজীবি ও সাধারন কৃষকরা তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না। আর কৃষকরা দাবী করছেন পানি না থাকায় ফসলি জমিতে সেচের পানি দেওয়া বন্ধ রয়েছে।  

এলাকাবাসী জানান, বিগত ২ বছর যাবত খরা, শিলা বৃষ্টি ও আগাম বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বিলের পানিই আমাদের জমিতে সেচের একমাত্র ভরসা। কিন্তু এই বিলের ইজারা ও সাব ইজারাদারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিলের পানি শুকাচ্ছে। বিলে পানি না থাকলে আমাদের জমিতে পানি দেওয়া সম্ভব হবে না, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কয়েক গ্রামের মানুষের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক লক্ষীপুরের একাধিক বাসিন্দা জানান, সাব ইজারাদার আ:লীগ নেতার ভাতিজা এ কারণে সে মানুষরে থানা পুলিশের ভয় দেখায়, কেউ ভয়ে প্রতিবাদও করে না।   

চাটনী পাড়া সমবায় সমিতির সদস্য কামরুল ইসলাম সবুজ আক্ষেপ নিয়ে জানান, আমি বিলের সদস্য হলেও আমাদেরকে না জানিয়ে বিল বিক্রি করে দিছে ওয়াসিমের কাছে, সে পানি শুকাইয়া মাছ ধরতাছে, এলাকার মানুষ জমিতে পানি দিতে পারতেছেনা, আমরা প্রতিবাদ করেও কোন ফল পাচ্ছি না।

চাটনী বিলের সাব ইজারাদার আ:লীগ নেতার ভাতিজা ওয়াসিম জানান, যা পারো লিখো, যা মন চাই লিখো, তোমরার লিখলেও কিছুই হবে না, তোমরা লেইখ্যা আমার কিচ্ছু করতে পারবা না।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।
 
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা জানান, জলমহালের তলা শুকিয়ে মাছ ধরা অবৈধ, সে যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত