নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ মার্চ, ২০১৬ ১৯:৩৮

ছাত্রদল নেতা জিলু হত্যা : চার্জশীটে প্রধান আসামীসহ ২৩ জনকে অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশ

চার্জশিট থেকে বাদ পড়েও শেষ রক্ষা হলোনা আসামীদের। সিলেটে বহুল আলোচিত ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু হত্যা মামলায় দাখিলকৃত চার্জশিটের নারাজি আমলে নিয়ে বাদ দেওয়া ১২ আসামীসহ ২৩ জনকে অন্তর্ভূক্ত করেছেন আদালত।

পুণতদন্তের নিদের্শ না দিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ বিচারক সাইফুজ্জামান হিরু সব আসামীকে চার্জশিটভূক্ত করার আদেশ দেন। ফলে পুলিশ চার্জশিট থেকে প্রধান আসামীসহ ১২ জনকে বাদ দিয়েও রক্ষা পেলো না। পাশাপাশি ৭ পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন। রোববার ২৩ আসামীকে অন্তর্ভূক্তি ও সমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদি পক্ষের আইনজীবীরা।

বাদির আইনজীবী ফজলুল হক সেলিম জানান, নারাজি গ্রহন করে আদালত সব আসমীকে নিজ থেকে চার্জশিটভূক্ত করেছেন। এটা আদালতের নজিরবিহীন উদ্যোগ। বেশির ভাগই পুনতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০১৪ বছরের ২৭ জুন নগরীর পাঠানটুলায় গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলুকে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মাহবুব কাদির শাহীসহ দলের ২০ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিহতের বড় ভাই আহমেদ আহসান মাহবুব বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দেড় বছর পর গত ৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই কমর উদ্দিন। এতে তিনি প্রধান আসামী শার্হীসহ ১২ জনকে বাদ ও নতুন করে ১১ জনকে অভিযুক্ত করেন।

মামলার বাদি নিহত জিলুর ভাই আহমেদ আহসান মাহবুব গত ১৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে আংশিক নারাজি দেন।

নারাজিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ কর্মকর্তা বাদিকে না জানিয়ে এবং তথ্য প্রমান থাকার পরও অর্থের বিনিময়ে মামলার প্রধান আসামি মাহবুব কাদির শাহী, ছাত্রদল কর্মী, মো সাদিক, গাজী লিটন, সালেহ আহমদ, নেছার আলম শামীম, কাউসার আহমদ, নাসির আহমদ, জয়নাল আবেদীন, খাইরুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন মঞ্জু, রায়হান খান বাবলা ও হেলাল আহমদকে বাদ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার চার্জশিটের উপর শুনানী শেষ হলেও ওইদিন আদালত কি আদেশ দিয়েছেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি আইনজীবীরা।

রোববার মামলার ২০ আসামীসহ ২৩ জনকে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবীরা। তারা জানান, চার্জশিটে বাদ দেওয়া ১২ জন ও নতুন অন্তর্ভূক্ত ১১ জন রয়েছে। নারাজি শুনানীতে অংশ নেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম শমিউল আলম, বাদি পক্ষর নিযুক্ত আইনজীবী ফজলুল হক সেলিম, জুয়েল আহমদ প্রমুখ।

বাদি আহমেদ আহসান মাহবুব জানান, চার্জশিট প্রদানের আগে আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারের কাছে প্রধান আসামীসহ কয়েকজনকে বাদ দেওয়ার আশঙ্কা করে অভিযোগ করে ফল পাইনি। তদন্তকারী কর্মকর্তা ইচ্ছেমত আসামীদেও বাদ দেন। তবে নারাজি দিলে আদালত আমাদের বক্তব্য আমলে নেন।  আমাদের নারাজি মঞ্জুর করে সব আসামীকে অন্তর্ভূক্ত করেছেন আদালত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত