নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জুন, ২০১৬ ২০:৫৫

সড়কে ‘বাধাগ্রস্ত’ পর্যটন

সিলেটের সবগুলো পর্যটন কেন্দ্রের সড়কের অবস্থা করুণ, ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে পর্যটক সমাগম নিয়ে শঙ্কা

প্রাকৃতিক সুন্দর আর বৈচিত্রের কারণেই দেশের অন্যতম পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চল সিলেট। যে কোনো ছুটিতেই সিলেটে পর্যটকদের ঢল নামে। বৃষ্টিবহুল আর পাহাড়ি ঝর্ণার আধিক্যের কারণে বর্ষা মৌসুমেই সিলেটে সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম ঘটে।

এবার ঈদও বর্ষা মৌসুমে। তার উপর টানা নয়দিনের সরকারী ছুটি। তাই এবার ঈদের ছুটিতে সিলেটে পর্যটকদের ঢল নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সিলেটের সবগুলো পর্যটন স্পটে যাওয়ার সড়কের অবস্থা একেবারেই করুণ। সড়কের এই দুরাবস্থার কারণে এবার ছুটিতে সিলেটে আশানুরুপ পর্যটক নাও আসতে পারেন বলে শঙ্কা তাদের।

প্রাকৃতিক সুন্দর আর বৈচিত্রের কারণেই দেশের অন্যতম পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চল সিলেট। যে কোনো ছুটিতেই সিলেটে পর্যটকদের ঢল নামে। বৃষ্টিবহুল আর পাহাড়ি ঝর্ণার আধিক্যের কারণে বর্ষা মৌসুমেই সিলেটে সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম ঘটে।

এবার ঈদও বর্ষা মৌসুমে। তার উপর টানা নয়দিনের সরকারী ছুটি। তাই এবার ঈদের ছুটিতে সিলেটে পর্যটকদের ঢল নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সিলেটের সবগুলো পর্যটন স্পটে যাওয়ার সড়কের অবস্থা একেবারেই করুণ। সড়কের এই দুরাবস্থার কারণে এবার ছুটিতে সিলেটে আশানুরুপ পর্যটক নাও আসতে পারেন বলে শঙ্কা তাদের।

সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ। দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড় আর বালুময় নদী মিলে প্রকৃতির এক অপূর্ব নিদর্শন ভোলাগঞ্জ। সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দুরত্ব মাত্র ৩৩ কিলোমিটার। অবিশ্বাস্য শোনাবে, তবে সত্য হলো- এইটুকু সড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘন্টা।

সড়কটির এমনই বেহাল দশা যে, অন্তত চার পাঁচ বার ভাঙ্গা সড়কের খাদে আটকাবে গাড়ি। তারপর ধাক্কা দিয়ে খাদ থেকে তুলে ফের শুরু করতে হয় যাত্রা। ফলে এই সড়ক দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই একান্ত প্রয়োজন ছাড়া য্ওায়া আসা করেন না। পর্যটকরা তো দূরে থাক! এতে সম্ভবাবনা থাকা সত্ত্বেও পর্যটক হারিয়েছে ভোলাগঞ্জ।

কেবল ভোলাগঞ্জই নয়, সিলেটের জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুলসহ সবগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানে যাওয়ার সড়কের অবস্থাই একেবারে নাজুক।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতিক সময়ে সিলেটে পর্যটকদের আগমনও বেড়েছে। যেকোনো ছুটিতেই সিলেটের হোটেল-মোটেলে সিট খালি পাওয়া যায় না। সিলেটের পর্যটন বিকাশে এগিয়ে এসেছেন বেসরকারী উদ্যোক্তারাও। সাম্প্রতিক সময়ে বৃহত্তর সিলেটে গড়ে ওঠে বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানের হোটেল-রিসোর্ট। সংশ্লিস্টদের মতে, গত কয়েক বছরে সিলেটে হোটেল-রিসোর্ট স্থাপনেই হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। তবে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সিলেটের পর্যটন বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মত সংশ্লিস্টদের।

একারণে এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটক আকর্ষনের সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও সড়কের কারণে পর্যটক কম আসতে পারেন বল শঙ্কা হােটেল ব্যবসায়ীদের।

নগরীর জিন্দাবাজারের হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মিষ্টু দত্ত বলেন, প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে সিলেটে প্রচুর পর্যটকরা আসেন। এবছর ছুটিও দীর্ঘ। তবে সিলেট শহর থেকে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যাওয়ার সড়কের অবস্থা একেবারে নাজুক। একারণে অনেক পর্যটক আসতে চান না। এরফলে আমরা কিছুটা শঙ্কায় রয়েছি।

সিলেট হোটেল মোটেল ও রেস্ট হাউস ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিন আহমদ বলেন, সিলেট-ঢাকা সড়কের অবস্থা বেশ ভালো। তবে সিলেট শহর থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের সড়কের অবস্থা এতোই নাজুক যে, এসব সড়ক দিয়ে কোনো গাড়িও যেতে চায় না। আর কোনো পর্যটক একবার আসলে তো আর সড়কের দুরাবস্থার কারণে দ্বিতীয়বার আসার নাম করেন না।

তিনি বলেন, আগে সিলেট এসে পর্যটকরা সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে বেড়াতেন। এখন সিলেট এসে তার শিলং চলে যান। সিলেটে অবস্থান করেণ না। কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পর্যটকদের ধরে রাখতে পারছে না সিলেট।

পর্যটকদের কাছে সিলেটের আকর্ষনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে, জাফলং, লালাখাল, বিছানাকান্দি, রাতারগুল জলারবন, ভোলাগঞ্জ, টাঙ্গুয়া ও হাকালুকির হাওর, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান প্রভৃতি। এই সবগুলো পর্যটনকেন্দ্রেরই সড়ক অবস্থা নাজুক। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় থাকলেও তা সংস্কারের উদ্যোগ নেই।

প্রকৃতির লীলাভূমি খ্যাত জাফলং সড়কের অবস্থাও একেবারে করুণ। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে জৈন্তাপুর বাজার পার হলেই ভোগান্তি শুরু। জাফলং পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কটি খানাখন্দে ভরা। মাঝেমধ্যেই দু-তিন ফুটের গর্ত। অনেক জায়গাতেই কার্পেটিং উঠে গেছে। তামাবিল পয়েন্ট পার হলেই সড়কের ভয়াবহতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। ভাঙাচোরা সড়কের আরেক দূর্ভোগের নাম ধলো। ক্রাশার মেশিনের ধুলোর কারণে এ সড়ক দিয়ে সুস্থ অবস্থায়ও চলাচল দায়। ধুলোাবালির সড়কে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে খুব সাবধানে চলতে হয় চালকদের। সিলেট শহর থেকে জাফলংয়ের দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে এই পথটুকু পাড়ি দিতে এখন দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে।

জাফলংয়ের মতো সিলেটের অন্য দুই পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দি ও রাতারগুলে যেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন পর্যটকেরা। পর্যটন স্পট বিছনাকান্দির দূরত্ব সিলেট থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার। এ দূরত্বের মধ্যে সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট বাইপাস থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। বছর তিনেক ধরে সড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না। আবার সালুটিকর থেকে বিছনাকান্দি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দূরত্বের সড়কে স্থানে স্থানে রয়েছে অসংখ্য গর্ত।

জলারবন খ্যাত রাতারগুলে যেতে হলেও পর্যটকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সিলেট থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরত্বের এ সড়কের পাঁচ কিলোমিটার অংশই ভাঙাচোরা। এ ছাড়া ওই সড়কের চানুপুর থেকে মোটরঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক কাঁচা। এতে করে বর্ষার মৌসুমে পর্যটকদের যাতায়াতে চরম সমস্যা হয়। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর লেগুণা ছাড়া কোনো গাড়িই যেতে চায় না রাতারগুল ও বিছনাকান্দিতে।

সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মুনিরুল ইসলাম বলেন, সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। এখন কেবল কাজ শুরুর অপেক্ষা। এছাড়া জাফলং সড়কের ওয়ার্ক অর্ডার ও সারি-গোয়াইনঘাট সড়কের সংস্কারে দরপত্র দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সদস্য ডা জাকারিয়া আহমদ বলেন, কেবল দামি দামি রিসোর্ট করলেই তো পর্যটকরা আসবে না। পর্যকরা রিসোর্ট দেখতে আসে না। সিলেটে পর্যটন বিকাশে অনেকগুলো বাধা রয়েছে। এরমধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা অন্যতম। পর্যটকরা ছুটি কাটানোর জন্য, একটু আরাম আয়েশের জন্য বেড়াতে আসেন। অথচ সিলেটে বেড়াতে আসা এখন দূর্ভোগের অপর নাম হয়ে ওঠেছে। এসব সড়ক দ্রুত সংস্কার করা জরুরী।
সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ। দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড় আর বালুময় নদী মিলে প্রকৃতির এক অপূর্ব নিদর্শন ভোলাগঞ্জ। সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দুরত্ব মাত্র ৩৩ কিলোমিটার। অবিশ্বাস্য শোনাবে, তবে সত্য হলো- এইটুকু সড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘন্টা।

সড়কটির এমনই বেহাল দশা যে, অন্তত চার পাঁচ বার ভাঙ্গা সড়কের খাদে আটকাবে গাড়ি। তারপর ধাক্কা দিয়ে খাদ থেকে তুলে ফের শুরু করতে হয় যাত্রা। ফলে এই সড়ক দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই একান্ত প্রয়োজন ছাড়া য্ওায়া আসা করেন না। পর্যটকরা তো দূরে থাক! এতে সম্ভবাবনা থাকা সত্ত্বেও পর্যটক হারিয়েছে ভোলাগঞ্জ।

কেবল ভোলাগঞ্জই নয়, সিলেটের জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুলসহ সবগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানে যাওয়ার সড়কের অবস্থাই একেবারে নাজুক।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতিক সময়ে সিলেটে পর্যটকদের আগমনও বেড়েছে। যেকোনো ছুটিতেই সিলেটের হোটেল-মোটেলে সিট খালি পাওয়া যায় না। সিলেটের পর্যটন বিকাশে এগিয়ে এসেছেন বেসরকারী উদ্যোক্তারাও। সাম্প্রতিক সময়ে বৃহত্তর সিলেটে গড়ে ওঠে বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানের হোটেল-রিসোর্ট। সংশ্লিস্টদের মতে, গত কয়েক বছরে সিলেটে হোটেল-রিসোর্ট স্থাপনেই হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। তবে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সিলেটের পর্যটন বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মত সংশ্লিস্টদের।

একারণে এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটক আকর্ষনের সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও সড়কের কারণে পর্যটক কম আসতে পারেন বল শঙ্কা হােটেল ব্যবসায়ীদের।

নগরীর জিন্দাবাজারের হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মিষ্টু দত্ত বলেন, প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে সিলেটে প্রচুর পর্যটকরা আসেন। এবছর ছুটিও দীর্ঘ। তবে সিলেট শহর থেকে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যাওয়ার সড়কের অবস্থা একেবারে নাজুক। একারণে অনেক পর্যটক আসতে চান না। এরফলে আমরা কিছুটা শঙ্কায় রয়েছি।

সিলেট হোটেল মোটেল ও রেস্ট হাউস ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিন আহমদ বলেন, সিলেট-ঢাকা সড়কের অবস্থা বেশ ভালো। তবে সিলেট শহর থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের সড়কের অবস্থা এতোই নাজুক যে, এসব সড়ক দিয়ে কোনো গাড়িও যেতে চায় না। আর কোনো পর্যটক একবার আসলে তো আর সড়কের দুরাবস্থার কারণে দ্বিতীয়বার আসার নাম করেন না।

তিনি বলেন, আগে সিলেট এসে পর্যটকরা সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে বেড়াতেন। এখন সিলেট এসে তার শিলং চলে যান। সিলেটে অবস্থান করেণ না। কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পর্যটকদের ধরে রাখতে পারছে না সিলেট।

পর্যটকদের কাছে সিলেটের আকর্ষনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে, জাফলং, লালাখাল, বিছানাকান্দি, রাতারগুল জলারবন, ভোলাগঞ্জ, টাঙ্গুয়া ও হাকালুকির হাওর, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান প্রভৃতি। এই সবগুলো পর্যটনকেন্দ্রেরই সড়ক অবস্থা নাজুক। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় থাকলেও তা সংস্কারের উদ্যোগ নেই।

প্রকৃতির লীলাভূমি খ্যাত জাফলং সড়কের অবস্থাও একেবারে করুণ। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে জৈন্তাপুর বাজার পার হলেই ভোগান্তি শুরু। জাফলং পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কটি খানাখন্দে ভরা। মাঝেমধ্যেই দু-তিন ফুটের গর্ত। অনেক জায়গাতেই কার্পেটিং উঠে গেছে। তামাবিল পয়েন্ট পার হলেই সড়কের ভয়াবহতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। ভাঙাচোরা সড়কের আরেক দূর্ভোগের নাম ধলো। ক্রাশার মেশিনের ধুলোর কারণে এ সড়ক দিয়ে সুস্থ অবস্থায়ও চলাচল দায়। ধুলোাবালির সড়কে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে খুব সাবধানে চলতে হয় চালকদের। সিলেট শহর থেকে জাফলংয়ের দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে এই পথটুকু পাড়ি দিতে এখন দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে।

জাফলংয়ের মতো সিলেটের অন্য দুই পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দি ও রাতারগুলে যেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন পর্যটকেরা। পর্যটন স্পট বিছনাকান্দির দূরত্ব সিলেট থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার। এ দূরত্বের মধ্যে সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট বাইপাস থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। বছর তিনেক ধরে সড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না। আবার সালুটিকর থেকে বিছনাকান্দি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দূরত্বের সড়কে স্থানে স্থানে রয়েছে অসংখ্য গর্ত।

জলারবন খ্যাত রাতারগুলে যেতে হলেও পর্যটকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সিলেট থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরত্বের এ সড়কের পাঁচ কিলোমিটার অংশই ভাঙাচোরা। এ ছাড়া ওই সড়কের চানুপুর থেকে মোটরঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক কাঁচা। এতে করে বর্ষার মৌসুমে পর্যটকদের যাতায়াতে চরম সমস্যা হয়। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর লেগুণা ছাড়া কোনো গাড়িই যেতে চায় না রাতারগুল ও বিছনাকান্দিতে।

সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মুনিরুল ইসলাম বলেন, সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। এখন কেবল কাজ শুরুর অপেক্ষা। এছাড়া জাফলং সড়কের ওয়ার্ক অর্ডার ও সারি-গোয়াইনঘাট সড়কের সংস্কারে দরপত্র দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সদস্য ডা জাকারিয়া আহমদ বলেন, কেবল দামি দামি রিসোর্ট করলেই তো পর্যটকরা আসবে না। পর্যকরা রিসোর্ট দেখতে আসে না। সিলেটে পর্যটন বিকাশে অনেকগুলো বাধা রয়েছে। এরমধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা অন্যতম। পর্যটকরা ছুটি কাটানোর জন্য, একটু আরাম আয়েশের জন্য বেড়াতে আসেন। অথচ সিলেটে বেড়াতে আসা এখন দূর্ভোগের অপর নাম হয়ে ওঠেছে। এসব সড়ক দ্রুত সংস্কার করা জরুরী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত