নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুন, ২০১৬ ২১:২৩

পুলিশের মারধরে কাভার্ড ভ্যান চালক হাসপাতালে, পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য

সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারে এক কাভার্ড ভ্যান চালককে মারধরে করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই চালককে গাড়ি রাস্তা থেকে সরাতে বললে চালক গাড়ি না সরিয়ে পুলিশকে গালমন্দ করেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শী অন্যান্য চালকরা জানিয়েছেন, চাঁদার দাবিতে চালককে মারধর করা হয়।

মারধরে আহত চালক হারুণকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর রিকাবীবাজার পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে লামাবাজার এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে বলে ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু কথা না শুনায় পুলিশ রিকাবীবাজার পুলিশ লাইনের সামনে গাড়িটি নিয়ে যায়। সেখানে পার্কিং করার পর চালক পুলিশকে গালমন্দ ও গায়ে হাত তুলেন। পরে ট্রাফিক পুলিশসহ পুলিশ লাইনের সদস্যরা মিলে ওই চালকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে চালক রাস্তায় জ্ঞান হারিয়ে পড়েন। প্রায় আধঘন্টা রাস্তায় পরে থাকার পর সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে যান। ওই সময় রাস্তায় উৎসুক জনতা ভিড়ের পাশাপাশি যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক চালক জানান, স্বপ্ন কার্গো সার্ভিসের একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে হারুণ রিকাবীবাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে সুবিদবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। রিকাবীবাজার পয়েন্টে ট্রাকটি থামিয়ে দেন সাদা পোশাকের রিজার্ভ পুলিশ সদস্য এসআই মামুন।

তিনি হারুনের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। হারুন কাগজপত্র প্রদর্শন করলেও এসআই মামুন তার কাছে চাঁদা দাবি করে বসেন।

হারুন টাকা দিতে অস্বীকার করলে দু'জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ট্রাক থেকে নামিয়ে হারুনকে আরো কয়েকজন সাদাপোশাকের পুলিশ ডেকে এনে সবাই মিলে মারধর করেন।

পরে উপস্থিত জনতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জনতা আহত হারুনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) মুশফিকুর রহমান বলেন, সড়কে গাড়ি থামানোতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিলো। ওই চালককে গাড়ি সরাতে বললে সে না সরিয়ে পুলিশকে গালাগাল করে। তিনি বলেন, গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত