শাকিলা ববি, হবিগঞ্জ

০৮ জুলাই, ২০১৬ ১৫:৪৫

ঈদ আনন্দের খোঁজে, চা-কন্যার দেশে

 

ঈদের লম্বা ছুটি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার আতঙ্ক ভয়ভীতিও দমাতে পারেনি ঈদের আনন্দ। প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে ঈদের দিন ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন হবিগঞ্জের মানুষ।

 

বয়সের ভেদাভেদ ভুলে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে ছিল প্রতিটি প্রাণে। শহরের ভিতরে কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় শহরের বাহিরে উপজেলাগুলোতে অবস্থিত দর্শনীয় স্থান ও পিকনিক স্পট গুলোতে ছিল লোকে-লোকারণ্য। বিশেষ করে হবিগঞ্জের শেষ সীমান্ত ও মৌলভীবাজার জেলার প্রবেশদ্বারের ঠিক মাঝামাঝি স্থানে নির্মিত চা-কন্যার ভাস্কর্যের পাশে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

 

হবিগঞ্জের নিকটবর্তী দুই জেলার সংযোগস্থল মুচাই এলাকায় রয়েছে অনেকগুলো চা বাগান ও দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতি। দূরত্ব কম তাই হবিগঞ্জবাসীর পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রথম পছন্দ থাকে এ স্থান।

ঈদের দিন দুপুর থেকেই বিনোদন পিপাশু মানুষ মোটরসাইকেল, কার, সিএনজিসহ যার যার সাধ্যমত যানবাহন নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে।

 

চা-কন্যার ভাস্কর্য অবস্থিত মুছাই এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সকল বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কেউ চা বাগানে হাঁটছেন, চা-কন্যার ভাস্কর্যের সাথে ছবি তুলছেন। কেউ বন্ধুদের নিয়ে চা বাগানের ভিতরে আড্ডায় মেতেছেন, আবার কেউবা তুলছেন সেলফি।

 

চা-কন্যার ভাস্কর্যের পিছনের পাহাড়টিতে ছিল অত্যন্ত সুসজ্জিত সিঁড়ি কাটা। সেই সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ে উঠে আনন্দ উল্লাস করেছেন অনেকেই। হঠাৎ উচ্চ স্বরে গানের শব্দ শোনা গেল। দেখা যায় একদল তরুণ ছোট লড়িতে গান বাজিয়ে নেচে গেয়ে ঈদ উদযাপন করছে। তরুণের দল লড়ি থেকে নেমে চা-কন্যার সাথে সেলফি তুলে বিভিন্ন গানে সাথে নাচ করতে শুরু করে। তাদের নাচ উপভোগ করেন এখানে ঘুরতে আসা অন্য দর্শনার্থীরাও।

এখানে আগত বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন হবিগঞ্জ পৌর এলাকার। শহরের নাতিরাবাদ এলাকার শামীম আহমেদ সপরিবারে ঘুরতে আসেন এখানে। তিনি সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শহরে ভিতরে কোনো ঘুরার জায়গা নেই তাই ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে একটু আনন্দ করতে এখানে আসছেন।

এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলা চুনারুঘাটের গ্রিন ল্যান্ড পার্ক, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, চা বাগান ও অন্য উপজেলায় অবস্থিত দর্শনীয় স্থানগুলোতে দিনভর মানুষের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত