বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

১০ জুলাই, ২০১৬ ২১:৫৭

‘আমরা মা-ছেলে কোথায় যাব’

পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের অভিভাবকরা বারবার আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। যেকোন সময় ওরা আমাদের মা-ছেলেকে মেরে ফেলতে পারে। আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আমরা মা-ছেলে এখন কোথায় যাব।

রোববার দুপুরে ‘পরবর্তি করনীয় সভায়’ সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় দর্জি জালাল হত্যা মামলার বাদি ও নিহতের ছোটভাই হেলাল আহমদ ও তার মা ফাতেমা খানম এসব কথা বলেন। বিশ্বনাথ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মধ্যবর্তি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রশিদপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে খুনের ঘটনায় ‘পরবর্তি করনীয় সভা’ নামক একটি সভার আয়োজন করে জনমঙ্গল ঈদগাহ কমিটি।

বিশ্বনাথ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন লালাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুল আমিন আফিয়ান চৌধুরী, নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল, সালশি ব্যাক্তিত্ব রইছুর রহমান, আবুল কালাম কচির, হাজী আবুল কালাম, রাজনীতিবিদ শেখ মোহাম্মদ আজাদ, ইউপি সদস্য আব্দুল মুমিন মামুন, নজরুল ইসলাম মনির, সংগঠক আব্দুল হান্নান সুহেল, ইমাদ উদ্দিন দয়াল। সভায় আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রশিদুপর পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি ও সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্দান্ত নেওয়া হয়।

গত ২৩জুন রাতে মোবাইলে ফোন কল পেয়ে বিশ্বনাথের তাজমহররম গ্রামের বসত বাড়ি থেকে বের হয়ে যান দর্জি আখলিছুর রহমান জালাল। ২৪জুন সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তি দক্ষিণ সুরমা এলাকা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ওইদিন রাতে নিহতের ছোটভাই হেলাল আহমদ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলা নং (১৮)। তবে মামলার এজাহারে কোন আসামির নাম উল্লেখ করা না হলেও পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে জড়িতদের নাম ঠিকানা। ২৬জুন নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল হান্নানের ছেলে বাবলু (২৫) ও আলা উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম শিপনকে (২৩) আটক করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। পরবর্তিতে আদালতে এরা দু’জন খুনের লুম হর্ষক র্বণনা দেয়।   

আপনার মন্তব্য

আলোচিত