সৌরভ আদিত্য, শ্রীমঙ্গল

২২ আগস্ট, ২০১৬ ১৪:২৪

শ্রীমঙ্গলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১৮ বছরের কম বয়স হওয়াতে দুই কিশোরীর বিবাহ বন্ধ করে করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.শহীদুল হক।

ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ হতে রক্ষা পাওয়া দুই কিশোরীদের একজন শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এবং অন্যজন একই ইউনিয়নের শাহীবাগ এলাকার বাসিন্দা।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মধু ছন্দা দাশ জানান, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের লালবাগ গ্রামের এক কন্যার রোববার দুপুরে শহরের কলেজ সড়কের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন চলছিল।

এমন সংবাদ স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মানবাধিকার কর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ইউএনও স্যারের নির্দেশে বিয়ের সেন্টারে গিয়ে দেখি বড় ও কনে কেউ আসেননি। কনের পক্ষের লোকজন বর পক্ষের লোকজনের অপেক্ষায় আছেন। এসময় মেয়েটির জন্ম সনদ দেখে জানা যায় তার ১৬ বছরই হয়নি। তখন মেয়ের বাবা জানায়,আসলে আমরা জানতাম না ১৮ বছরের নীচে কাউকে বিয়ে দেওয়া যায় না। একথা বলে তারা নিজেরাই বিয়ে ভেঙে দেয়। এবং প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। পরে অতিথিদের মধ্যে রান্না খাবার খাওয়ানো হয়।

অন্যদিকে একই ইউনিয়নের শাহীবাগ এলাকার এক কন্যার শুক্রবার দুপুরে তাঁর বাসায় বিয়ের আয়োজন করেন তার অভিভাবকেরা। স্থানীয় ব্র্যাককর্মীদের কাছে খবর পেয়ে ইউএনও স্যারের নির্দেশে দুপুর দুইটার দিকে গিয়ে ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁর বয়সও ১৬ বছর। ওই কন্যার বাবাও একইভাবে অঙ্গীকার দিয়ে ছাড়া পান বলে মধু ছন্দা দাশ জানান।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শহীদুল হক বলেন, বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। দুটি বিবাহতেই ছেলে এবং মেয়ে আসে নাই। এবং দুটি পরিবারকেই হুঁশিয়ার করে দিয়েছি যাতে ১৮ বছরের আগে বিবাহ না দেয়।

তিনি জানান, চলতি মাসের ৮ তারিখে এ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপজেলায় কোনভাবেই বাল্য বিবাহ বরদাশত করা হবে না।

(সঙ্গত কারণে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের নাম প্রকাশ করা হলো না)

আপনার মন্তব্য

আলোচিত