এস আলম সুমন, কুলাউড়া

২৮ আগস্ট, ২০১৬ ১৮:৫০

নতুন পারাবত ট্রেনে কুলাউড়ার আসন চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল

আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) ১৬টি নতুন বগি (কোচ) নিয়ে নতুন রূপে ঢাকা-সিলেট রেলপথে যাত্রা শুরু করবে।

নতুন বগি সংযোজিত এই ট্রেনে কুলাউড়ার জন্য প্রথম শ্রেণি, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ারসহ মোট ৬৮টি আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ স্টেশন দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে দ্বিতীয় কিস্তিতে আনা সম্পূর্ণ নতুন বগি থেকে ১৬টি বগি নিয়ে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা-সিলেট রেলপথে যাতায়াত করবে আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস। এর মধ্যে দুটি বগি প্রথম শ্রেণি, দুটি বগি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, খাবার গাড়ী একটি, পাওয়ার কার একটি ও বাকি বগিগুলোতে শোভন চেয়ার থাকবে।

এ ট্রেনে প্রথম শ্রেণি, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ারসহ মোট আসন থাকবে ৭১৯টি। এর মধ্যে কুলাউড়া থেকে প্রথম শ্রেণি ৩টি, এসি চেয়ার ৫টি ও শোভন চেয়ার ৬০টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রথমদিকে এ ট্রেনে স্নিগ্ধা(এসি) কেবিন, স্নিগ্ধা(এসি) চেয়ার, শোভন চেয়ার ও শোভন সিট মিলিয়ে আসন সংখ্যা ছিলো ৮৭টি। পরবর্তীতে বগি সংকট দেখিয়ে এ স্টেশন থেকে আসন সংখ্যা কমিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে আসন রয়েছে ৩৬টি।

নতুন পারাবত ট্রেনে সবকটি বগি নতুন সংযোজন করার খবরে এ স্টেশন দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু নতুন এ ট্রেনে চাহিদার তুলনায় মাত্র ৬৮টি আসন বরাদ্দ দেওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে।

কুলাউড়া স্টেশনে ঢাকাগামী যাত্রী ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ও ব্যবসায়ী আহমেদুল কবির জানান, একই মানের পার্শ্ববর্তী শ্রীমঙ্গলকে পর্যটনের অজুহাত দেখিয়ে এই স্টেশনে শতাধিক আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন বড়লেখা-জুড়ী ও কুলাউড়া এই তিনটি উপজেলার প্রায় দুই সহস্রাধিক যাত্রী ট্রেনযোগে চলাচল করেন। এছাড়াও এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিনই এই তিন উপজেলায় অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, চা বাগানসহ নানা দর্শনীয় স্থান দেখতে পর্যটকরা আসেন। কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে সুদৃষ্টি প্রয়োজন।

ট্রেন যাত্রী এনামুল আলম, মামুন আহমদ ও সাব্বির আহমদ  বলেন, কুলাউড়া থেকে ঢাকায় সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এই অঞ্চলের যাত্রীরা একমাত্র ট্রেনে যাতায়াতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। একই মানের অন্য স্টেশন থেকে এই স্টেশনের আসন সংখ্যা কম বরাদ্দ কোনভাবেই কাম্য নয়।

কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হরিপদ সরকার জানান, কুলাউড়ায় ৬৮টি আসনের মধ্যে ৫টি এসি চেয়ার ও ৩টি প্রথম শ্রেণি’র আসন রয়েছে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকদের জন্য শ্রীমঙ্গলে এসি চেয়ার ৩০টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ এ আসনগুলো আবার পুনর্বিন্যাস করবে। তখন হয়ত আরও কয়েকটি আসন কুলাউড়ার জন্য বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

সিলেট আখাউড়া রেল সেকশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কমার্শিয়াল(টিআইসি) নুরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সকল স্টেশনে যে আসন দেওয়া হয়েছে পরবর্তীতে তা আবার পুনর্বিন্যাস করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত