বড়লেখা প্রতিনিধি

৩০ আগস্ট, ২০১৬ ১০:৪৩

বড়লেখায় পুলিশ-ডাকাত গুলি বিনিময়, ওসিসহ আহত ১৭

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পুলিশ-ডাকাত গুলিবিনিময়ে বড়লেখা থানার ওসিসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাত তিনটার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের পূর্ব-দক্ষিণভাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার যাদবপুরের জিতু মিয়া (৪২) ও হরিচন্দ্রপুরের আব্দুল খালিক (৩৭), মাধবপুর উপজেলার কালীনগরের আশিক আহমদ (৩৫), শিবপুরের খলিলুর রহমান (২৩), সাতপারিয়ার জাহাঙ্গীর (২৫), কামাল (৩৬) ও এখতিয়ারপুরের নুর মিয়া (২৮)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি রামদা, ১টি দা, ২টি ছোরা, ১টি চিরা পাঞ্জা, ১টি সিদ কাটি, ১টি লাইট উদ্ধার করা হয়।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাত তিনটার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের পূর্ব-দক্ষিণভাগ এলাকার বাসিন্দা প্রবাস ফেরত ধনু মিয়ার বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ একটি মাইক্রোবাস যোগে ধনু মিয়ার বাড়ির পাশে অবস্থান নেন।

পুলিশের উপস্থিতে টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে মাইক্রোবাসের কাঁচ ভেঙে যায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে পুলিশ সহ উভয়পক্ষের ১৭ জন আহত হন।

আহতরা হলেন, বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান, ওসি (তদন্ত) আকবর হোসেন, এসআই আনোয়ার উল্লাহ, অমিতাভ দাস তালুকদার, ধ্রুবেষ চক্রবর্তী, দেবাশীষ, কনস্টেবল আজগর, কামিল, শহীদুর, আতাউর।
তাঁদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির ছররা লেগেছে। তাঁরা বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

অপরদিকে ডাকাত দলের আহতরা হলেন জিতু মিয়া, আব্দুল খালিক, আসিক আহমদ, খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর, কামাল ও নুর মিয়া। তাদের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে ধনু মিয়ার বাড়ির পাশে গেলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ২৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে পুলিশসহ উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে আন্ত: জেলা ডাকাত দলের ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পেশাদার ও জেল খাটা ডাকাত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অস্ত্র আইন, ডাকাতির প্রস্তুতি ও পুলিশের উপর আক্রমণের তিনটি পৃথক মামলা করা হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িত বাকি ডাকাতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত