মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২৩:১৫

নবীগঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সালামতপুর, উপজেলার দিনারপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গজনাইপুর ইউনিয়নের জনাতার বাজার, ইনাতগঞ্জ, সৈয়দপুর বাজার, নতুন বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসতে শুরু করছে পশুর হাট গুলো। হাটগুলো ক্রেতাদের পদভারে সরগরম থাকলেও দাম সাধ্যের বাইরে থাকায় অনেক ক্রেতাই দাম কমার অপেক্ষা করছেন। তবে, দুই একদিনের মধ্যে ক্রেতারা কোরবানির পশু কিনতে শুরু করবেন বলে বলে মনে করছেন হাটে পশু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীরা।

শনিবার জনাতার বাজারের পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেল ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপছেপড়া ভিড়। অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে করছেন এ হাটে আসা ক্রেতারা। লোক সমাগম অনেক হলেও বেচা বিক্রি তেমন জমেঊঠেনি বলে জানালেন একাধিক বিক্রেতা।    

ঈদের আর মাত্র হাতে গুনা কয়েক দিন বাকী তাই পশুর হাটের ভিড় ও আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে। শেষ মুহূর্তে আরো বেশী ভিড় বাড়বে এবং রাত ১২/১ পর্যন্ত বেচা কেনা চলবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও গরুর বাজার কর্তৃপক্ষ।
 
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সম্পূর্ণ হাট ছিল গরু, ছাগল পশুতে পরিপূর্ণ। তবে দাম বেশী থাকায় মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশী। অনেককে কোরবানির পশু না কিনে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করে কোরবানির পশু কিনবেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।

বাজারে দাম বেশী থাকায় অনেক বিক্রেতাকে ও তাদের আমদানিকৃত গরু বিক্রি না করে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। এদিকে, ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ছোঁয়ায় আরো একধাপ এগিয়ে জমে উঠেছে পশুর হাট। অনেকেই স্মার্ট ফোনে থ্রীজি নেটওয়ার্কর আওতায় ভিডিও কলের মাধ্যমে বিদেশে অথবা বাড়িতে থাকা লোকজনকে গরু দেখাচ্ছেন এবং তারা ভিডিও কলে গুরু দেখে দেখে পছন্দ করছেন কোনটা কিনবেন। এ ছাড়াও অনেকেই গরুর ছবি তুলে হোয়াটসআপের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের শেয়ার করছেন।
 
উপজেলার সাতাইহাল গ্রামের ক্রেতা নুরুজ্জামান জানান- বাজারে দাম খুব বেশী তাই কোরবানির গরু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। আগামী বাজারে দাম আরো কমতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
 
উপজেলার দেবপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাসেম উল্লাহ পশু বিক্রি করতে এসেছেন এ হাটে। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাজারের দাম বেশী হওয়ায় অনেক ক্রেতা কোরবানির পশু না কিনে চলে যাচ্ছেন। যার ফলে আমরা আশানুরূপ বিক্রি না করতে পারায় সেগুলো নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। একটি গরু ৮০ হাজার টাকা দাম চাইলে ও ক্রেতারা ৫০/৬০ হাজার টাকা দাম করেছেন। তাই বিক্রি করতে পারিনি। তবে ঈদের আগের ৪/৫ দিন বাজার আরো অনেক ভাল হবে বলে আশা করছি।

গজনাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিউল আলম বজলু বলেন, নবীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী দিনারপুর জনতার বাজার পশুর হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা পশু নিয়ে আসেন। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর দাম একটু বেশি এবং ভারতীয় গরু বাজারে আসায় দেশীয় গরু বিক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। তাই ক্রেতারাও দাম চড়া হওয়ায় গরু কিনতে পারছেন না। অনেকেই শেষ বাজারের অপেক্ষা করছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল বলেন- প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নির্বিঘ্নে ক্রেতা বিক্রেতারা পশু ক্রয় বিক্রয় করছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত