নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:৪৭

গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন ট্যাম্পাকো কারখানার মালিক লেচু মিয়া

টঙ্গীর ট্যাম্পাকো কারখানায় বিস্ফোরণের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন এই কারখানাটির মালিক মকবুল হোসেন লেচু মিয়া। মকবুল হোসেনের অবহেলায়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তবে মকবুল হোসেনকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গির ট্যাম্পাকো কারখানায় বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ৩৪ শ্রমিক মারা গেছেন। এই কারখানার মালিক মকবুল হোসেন সিলেট-৬ আসনের সাবেক সাংসদ। একাধিকবার তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন, এরপর যোগ দিয়েছেন বিএনপিতে। লেচু মিয়া নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। নিজের বিপুল বিত্ত-বৈভব আর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সিলেটজুড়েই তিনি আলোচিত চরিত্র। অর্থ আর ক্ষমতার জোরে প্রভাবশালী এই নেতা এবার গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

কারখানায় দুর্ঘটনার দিন থেকেই লেচু মিয়া পলাতক রয়েছেন। বন্ধ রয়েছে তার মুঠোফোনও।

গত ১১ আগস্ট শনিবার ভোরে ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেডের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর কারখানাটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪০ জনের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখনো আরো অনেকে নিখোঁজ আছেন।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, "শ্রমিকদের নিরাপত্তা ইস্যুতে আমরা কারখানা মালিকের অবহেলা, তাচ্ছিল্য খুঁজে পেয়েছি।"

তিনি বলেন, কারখানার মালিক মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

সিলেট নগরীর উপশহরে মকবুল হোসেনের নিজস্ব বাসা থাকলেও সেখানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মকবুল হোসেন কোথায় আছেন তাও জানাতে পারেননি বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (১ ০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীতে ট্যাম্পাকো ফয়েলস নামের একটি প্যাকেজিং কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে পাঁচতলা কারখানা ভবনের কাঠামোও ধসে পড়ে। এ সময় ভবনের সামনের গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী, রিকশা চালক ও দুই যাত্রীসহ ১৪ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে একে একে বেরিয়ে আসে আরও ২০টি লাশ। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত