সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ অক্টোবর, ২০১৬ ১৯:৫৮

তিন মাসেও গ্রেফতার হয়নি কোন আসামি!

সমকাল সুহৃদ ইমরানের উপর হামলা

সিলেটে দৈনিক সমকাল’র পাঠক সংগঠন সুহৃদ সমাবেশ’র সহ সভাপতি ইমরান আহমদের উপর সন্ত্রাসী হামলার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ হামলাকারীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ‘তদন্ত চলছে’ বলে দাবি করা হলেও দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা হামলায় গুরুতর আহত ইমরান আহমদ বা মামলার বাদির বক্তব্য নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা মনে করেননি। আসামিদের গ্রেফতার ও তদন্তে পুলিশের রহস্যজনক গাফিলতির সুযোগে আসামিদের কয়েকজন ইতিমধ্যে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাদি ও হামলার শিকার ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দিচ্ছে।

এনিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন সমকাল সুহৃদ সমাবেশ সিলেটের সভাপতি রাজ কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বসু। তারা আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

গত ২৮ জুন রাত ২ টার দিকে নগরীর মুন্সিপাড়ায় বেসরকারি ক্লিনিক গ্রামীন হসপিটালে স্থানীয় সন্ত্রাসী শফিক মিয়া ওরফে লাউটা শফিক ও তার সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ সময় কর্তব্যরত ইমরান ক্লিনিকের রোগী ও তাদের স্বজনদের রক্ষায় হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করে। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইমরানের দুটি হাত মারাত্মক জখম হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুটি অপারেশন হয়েছে। বর্তমানে সুস্থ হলেও হামলায় গুরুতর আহত ইমরান আহমদের বাম হাতের কার্যকারিতা অর্ধেক হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে হামলার ঘটনায় গত ২ জুলাই গ্রামীণ হসপিটালের সুপারভাইজার মোশাহিদ আলী বাদি হয়ে শফিক ও তার ছেলেসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা (নম্বর-২) করেন। এতে শফিক মিয়া ওরফে লাউটা শফিক, তার তিন ছেলে শুক্কুর আহমদ, শরীফ আহমদ ও আরিফ আহমদ, শফিকের মালিকানাধীন কলোনীর বাসিন্দা শুভ আহমদ ও মৃত ইসহাক আলীর ছেলে সৈয়দ ওয়াকিলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই কামাল হোসেন সরকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি শিগগির হামলার শিকার ইমরান আহমদের বক্তব্য নেওয়ার কথা বলেন। কয়েকদিনের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার কথাও দাবি করেন তিনি।

মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা শফিক মিয়ার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অনেক অভিযোগ থাকলেও স্থানীয় কাউন্সিলর এসএম আবজাদ হোসেন সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, হামলাকারীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির কি-না, তা এভাবে বলা যাবে না। মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা কাউন্সিলর আবজাদ হোসেনের বাসা ভাড়া নিয়েই গ্রামীন হসপিটাল পরিচালিত হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত