বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

০১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৮:৫৫

বিশ্বনাথে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নিহত ব্যক্তির দাফন, ২টি মামলা

সিলেটের বিশ্বনাথের লামাকাজিতে তীর খেলার আস্তানায় অভিযানকালে পুলিশকে অবরুদ্ধ ও নদীতে ডুবে জামায়াত নেতার মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটির একটি জুয়া আইনে এবং অন্যটি জামায়াত নেতা শাহীন আহমদের (৪০) মৃত্যুতে অপমৃত্যু মামলা।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ১৮৬৭ সালের জুয়া আইনের ৩/৪ধারায় বিশ্বনাথ থানার এসআই হাবিবুর রহমানের দায়ের করা মামলায় তীর খেলা থেকে গ্রেপ্তারকৃত ২ জনসহ আরও ৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়, (মামলা নং ০১)। অপর অপমৃত্যু মামলাটি দায়ের করেছেন জামায়াত নেতা শাহীন আহমদের মামা অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ নোমান, (মামলা নং ৭)।

বুধবার বিকেলে তীর খেলা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সিলেট সদর উপজেলার খালপার গ্রামের আব্দুল লতিফ (৩২) ও জুনেদ মিয়াকে (২৫) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্বনাথ থানার ওসি মুনরুল ইসলাম পিপিএম জানিয়েছেন। তিনি বলেন. বর্তমানে লামাকাজি এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এদিকে বুধবার লামাকাজি বাজারে পুলিশি অভিযানকালে গ্রেপ্তার এড়াতে সুরমা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণকারী সিলেট জেলা জামায়াতের সাবেক রুকন সদস্য শাহীন আহমদের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাদ আছর জানাজার নামাজ শেষে তার নিজ গ্রাম সৎপুরে সম্পন্ন করা হয়।

জানাজার নামাজের আগে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আবু তৈয়ব সৎপুরী, সৎপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ নুমান, সহকারী অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম, সিলেট সদরের মোল্লার গাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিরণ মিয়া, লামাকাজি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, খাজান্সী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তালুকদার মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দিক হোসেন সাজুল ও বিএনপি নেতা মইনুল হক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত