বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি

০৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৮:২৩

আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলেকে খুন করেন পিতা

বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের একটি কলোনিতে নিজের ছেলেকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন পিতা নুরুল ইসলাম (৪০)।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সিলেটের আমল গ্রহণকারী দ্বিতীয় আদালতে এই জবানবন্দি দেন নুরুল ইসলাম।

মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রাম থেকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ফাহিম আহমদ (৮) নামক এক শিশুর লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত ফাহিমের পিতাসহ ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল ইসলাম জানিয়েছে, ছেলের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে পরিবারের সবাই তার উপর অতিষ্ঠ। সম্প্রতি পাশের বাসার সাথে তার মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আপোষ মীমাংসায় ফাহিমের পিতা পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়। এরপর থেকে ছেলে উপর ক্ষোভ দেখা দেয় এবং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। শুক্রবার সকালে পুত্রকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী অফিস বাজারে আসে এবং সেখানের একটি চায়ের দোকানে তাকে রুটি খাওয়ায়। বাড়ী যেতে যেতে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে তাঁর হাতে থাকা রশি দিয়ে প্রথমে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। এরপর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য লাশটি ঝুলিয়ে রাখে। তারপর ঠাণ্ডা মাথায় সে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও সে এলাকা ছেড়ে না গিয়ে আশপাশ ঘোরাঘুরি করতে থাকে। শুক্রবার রাতে নিহত ফাহিমের মা জেসমিন বেগম বাদী একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহিন মিঞা বলেন, ছেলের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে হত্যা করেন নুরুল ইসলাম। শনিবার বিকেলে সিলেটের আমল গ্রহণকারী দ্বিতীয় আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের একটি কলোনি থেকে ৮ বছরের এক শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত