০৬ এপ্রিল, ২০১৭ ১৯:৪৩
আতিয়া মহলে চলছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের ক্লিয়ারিং অপারেশন। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভবনটি থেকে মোট ৯টি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শেষ হওয়ার পরও ভবনটিতে প্রচুর বিস্ফোরক থাকার সম্ভাবনা থাকায় গত ৩ এপ্রিল থেকে এ অভিযান শুরু করে র্যাব।
এ ক্লিয়ারিং অপারেশনের চতুর্থ দিন শেষে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আতিয়া মহলের পাশে র্যাবের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে রবিবার থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান সম্পর্কে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের ব্রিফ করে র্যাব-৯।
র্যাব-৯ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ বলেন, শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে আতিয়া মহলে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৯টি শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে র্যাব।
এছাড়াও ক্লিয়ারিং অভিযানের প্রথমদিনই মৃত দুই জঙ্গির দেহ উদ্ধার করে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। এ বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম মাহমুদ।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার জানান, আতিয়া মহল থেকে বিস্ফোরক ছাড়াও বিস্ফোরক বানানোর প্রচুর সরঞ্জামও পাওয়া গেছে, এছাড়াও বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ্ও পাওয়া গেছে, যা কী কাজে ব্যবহৃত হতো তা জানতে ল্যাব টেস্টে পাঠানো হয়েছে।
আতিয়া মহল ক্লিয়ারিং এ আরো সময় লাগবে জানিয়ে র্যাব-৯ এর কমান্ডিং অফিসার এলাকাবাসীকে ধৈর্য্য ধরে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন।
নগরীর শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহল এ জঙ্গি আস্তানা রয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পরপরই গত ২২ মার্চ রাত দেড়টা থেকে আতিয়া মহল ঘেরাও করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরে ২৫ মার্চ সকাল থেকে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডো দল। ৪ দিনের এ অভিযান শেষে ২৮ মার্চ পুলিশের কাছে আতিয়া মহলের দায়ভার হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
আপনার মন্তব্য