নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ এপ্রিল, ২০১৭ ১৪:১০

‘আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি, হাইকোর্টের কাছে কৃতজ্ঞ’

আলোচিত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষে আদালতের দেয়া রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাজনের বাবা আজিজুর রহমান

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) হাইকোর্ট রায় ঘোষণাকালে তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আজিজুর রহমান বলেন, ‘বিচারিক আদালতে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। সে রায়ে আসামিদের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টেও সেটা বহাল থাকায় আমি সন্তুষ্ট।’

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার আলোচিত এই হত্যা মামলায় চার আসামির ফাঁসির রায় বহাল রাখেন।

তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘তারা সারাবিশ্বে আমার ছেলের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরেছেন। সারাদেশের মানুষ আমার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার মূল আসামি কামরুল ইসলাম ওই হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মাথায় পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যায়। পরে ভিডিও দেখে প্রবাসীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। পরে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।

মাত্র ১৭ কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। সেখানে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া একজনের যাবজ্জীবনসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দীন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদের ফাঁসির আদেশ হয়।

এদিকে রাজনকে নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া নূর মিয়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পেলেও হাইকোর্ট তা কমিয়ে ৬ মাস করেছেন। আদালত বলেন, ‘এ মামলায় এই ভিডিও ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য। ফলে তার সাজা কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছে।’ আদালত আরও বলেন, ‘তার ভিডিও ধারণ ‘ইনটেনশনাল’ ছিল না, কৌতুহলবশত সে এটি করেছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত