বড়লেখা প্রতিনিধি

১১ আগস্ট, ২০১৭ ০১:১৮

বড়লেখায় মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে আদালতের নির্দেশ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ফকিরবাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও নিম্ন মান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সুপার পদপ্রার্থী আব্দুল করিমের আবেদন গায়েব করায় তিনি গত ২ আগস্ট মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালতে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে স্বত্ত্ব মামলা (স্বত্ত্ব মামলা নং-২৫৯/১৭) দায়ের করেন।

এদিকে কয়েকবার এ মাদ্রাসার শূন্য থাকা সুপার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষায় উর্ত্তীণদের নিয়োগের জন্য পরীক্ষা কমিটি (নিয়োগ বোর্ড) সুপারিশ করে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে নিয়োগ পরীক্ষায় উর্ত্তীণদের নিয়োগ না দিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করে দেয়।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপার আব্দুস সবুর অবসরে যাওয়ায় ফকিরবাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপারের পদ শূন্য হয়। এরপর ৪-৫ বার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েও সুপার পদটি পুরণ করা হয়নি। গত বছরের ১৮ নভেম্বর সুপার ও নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সুপার পদে ৮ জন ও কম্পিউটার অপারেটর পদে ১১ জন প্রার্থী অংশ নেন। নিয়োগ বোর্ড সুপার পদে মো. আব্দুল মোহিম ও নিম্নমান সহকারী পদে জাহেদ হোসেনকে নির্বাচিত করে।

অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি নিজের চাচাকে সুপার পদে নিয়োগ দিতে এ নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করেন। পরবর্তীতে পুণরায় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে অনেকের সাথে সুপার পদপ্রার্থী আব্দুল খালিক, ওয়াছিক উদ্দিন, আব্দুল করিম ও রফিক উদ্দিন যথযথভাবে ১ হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করেন। কিন্তু বাছাইয়ের আগেই তাদের আবেদনপত্র গায়েব করা হয়। একজনের অনাপত্তিপত্র ফেলে দিয়ে আবেদন বাতিল করা হয়।

সুপার প্রার্থী আব্দুল করিম জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে তিনি জানতে পারেন ৪ আগস্ট নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাছাইকালে তার আবেদন পাওয়া যায়নি। অথচ তিনি ডাকযোগে আবেদন পাঠিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করেছেন। তার আবেদনে কোন ভুলভ্রান্তি ছিল না। উদ্দেশ্যমুলকভাবে তার আবেদন গায়েব করা হয়। এজন্য তিনি গত ২ আগস্ট মাননীয় আদালতের শরনাপন্ন হন। বিজ্ঞ আদালত তার প্রার্থনার পক্ষে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ জারি করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। আদালত থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে সভাপতিকে। মাধ্যমিক কর্মকর্তাকেও অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। সভাপতি নোটিশের জবাব দিয়েছেন কি না জানি না। যেহেতু এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। তাই পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের পরবর্তী আদেশের অপেক্ষা করতে হবে।’

সুপার পদপ্রার্থীগণের আবেদন গায়েব করার বিষয়টি অস্বীকার করে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি শামীম আহমদ বলেন, ‘শুনিছে আমাকে অভিযুক্ত করে কোর্টে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে আমি এখনো কোন কাগজ পাইনি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত