১৩ আগস্ট, ২০১৭ ১৩:৩৫
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ছয়টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। বন্যায় স্থগিত করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ষাণ্মাসিক পরীক্ষা।
উপজেলার হালির ও পাকনার হাওরের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে উলুকানি, মদনাকান্দি, হরিনাকান্দি, আছানপুর, মাহমুদপুর, হঠামারা, পশ্চিম ফেনার বাক, রাজেন্দ্রপুর, আরও বিভিন্ন গ্রামে অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা যাওয়া আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
জামালগঞ্জ সদর, ভীমখালী, সাচনা বাজার, ফেনারবাক, ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রোপা আমন বীজতলা, আউশ ধান ও শাকসবজি তলিয়ে গেছে।
উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দ.) মনিরুল হাসান বলেন, জামালগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, গতকাল (শনিবার) বিকাল ৩টায় ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি সভা করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের স্থানীয়ভাবে দেখাশুনা চলছে। চেয়ারম্যানদের সার্বিক পরিস্থিতির খোজ খবর রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (অ.দ.) আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, উপজেলা প্রায় ৭/৮ টি স্কুলে বন্যা পানি ঢুকে যাওয়ায় ও স্কুলের সংযোগ রাস্তা ডুবে যাওয়ায় ষাণ্মাসিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
আপনার মন্তব্য