নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:২৭

পাঁচশ টাকায় বৈধ হয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে আসা ভারতীয় গরু

মাত্র পাঁচশ' টাকার বিনিময়ে বৈধ হয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় গরু। খোদ কাস্টমস কর্মকর্তারা এই বৈধতা প্রদান করছেন।

জানা যায়, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কত কয়েকদিন ধরে ভারত থেকে আসছে প্রচুর সংখ্যক গরু। কেবল সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়েই প্রতিদিন দেড় হাজার গরু আসছে, যদিও ভারত বৈধভাবে গরু রপ্তানি করে না। ফলে অবৈধ পথে আসছে এসব গরু।

কাস্টমস অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারত বৈধভাবে গরু রপ্তানি করে না। কিন্তু সেখানকার ব্যবসায়ীরা ঈদের মৌসুমে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। অবৈধভাবে আসা এসব গরু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আটক করে। তারা গরু নিয়ে যায় কাস্টমস অফিসে। কাস্টমস কর্মকর্তা ৫শ' টাকা জরিমানা আদায় করে গরুর গায়ে একটি সিল মেরে বৈধতা প্রদান করেন।

কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনরেট, সিলেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আহমেদুর রেজা বলেন, এভাবে গরু আসার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় অবগত আছে এবং তাদের অনুমোদন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমদানিকৃত গরু প্রতি জরিমানা বাবদ ৫০০ টাকা আদায় করা হয়।

আহমেদুর বলেন, সবচেয়ে বেশি গরু আসছে ভোলাগঞ্জের মাঝেরগাঁও দিয়ে। এই করিডোর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০টি করে গরু আসে।

জানা যায়, চলতি মাসে সিলেট বিভাগে নতুন করে তিনটি করিডোর উন্মুক্ত করেছে রাজস্ব বিভাগ। সিলেট ভোলাগঞ্জের মাঝেরগাঁও, হবিগঞ্জের বাল্লা ও সুনামগঞ্জের ছাতক; এসব করিডোর দিয়ে চলতি মাসের শুরু থেকেই ভারত থেকে গরু আসা শুরু হয়। এছাড়া পুরনো করিডোর মৌলভীবাজারের শরিফপুর দিয়েও আসছে গরু।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই চার করিডোর ছাড়াও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি, বিয়ানীবাজার উপজেলার সুতারকান্দি, সুনামগঞ্জের বড়ছড়াসহ আরও কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়েই আমদানি হচ্ছে গরু। এই চোরাচালানে সীমান্তরক্ষী বাহিনী সম্পৃক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।

তবে প্রাণীসম্পদ দপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপপরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, সিলেটে যে পরিমাণ পশু রয়েছে, তা কোরবানির চাহিদার তুলনায় অধিক। ফলে ভারত থেকে গরু আমদানি করার প্রয়োজন নেই। তবু দেদারসে গরু আসছে। এতে দেশীয় খামারিরা নিরুৎসাহিত হবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত