মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

৩১ আগস্ট, ২০১৭ ০১:৩৮

কমলগঞ্জে রেল লাইনের উপর পশুর হাট!

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর বাজারে  রেল স্টেশনের সংলগ্ন রেল লাইনের উপর বসছে পশুর হাট। ফলে ঝুঁকি নিয়ে বেচাকেনা করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা। বুধবার শমশেনগর পশুর হাটে গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, শমসেরনগরের রেল স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে জমিতে রেল লাইনের উপরে বসে ঝুকিপূর্ণ ভাবে পশুর বেচাকেনা চলছে। কেউবা আবার রেলের স্লিপারের সাথে গরু বেঁধে বিক্রি করতেও দেখা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রেল কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় ইজারাদার অবৈধভাবে রেল লাইনসহ পাশের জমিতে বাজার বসিয়েছেন। ট্রেন আসলেই দৌড়ে সরে যেতে দেখা যায় কেতা-বিক্রেতাদের। এ হাটেই জাল নোট সনাক্ত করতে শমসেরনগর সোনালী ব্যাংকের একটি বুথও দেখা গেছে।
 
উপজেলার আদমপুর এলাকার পশু বিক্রেতা আজিদ মিয়া রেল লাইনের উপরে গরু বেঁধে বিক্রয় করার ব্যাপারে জানান, রেল লাইনের উপরে গরু বিক্রি করলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ইজারাদার এ বাজার বসানোর জন্য বাধ্য হয়ে রেল লাইনের উপরে গরু বিক্রি করছি।

চেরাগ মিয়া নামের এক বিক্রেতা রেল লাইনের পাশে গরু বেঁধে লাইনের উপরে বসেছিলেন। তিনি বলেন, জায়গা না পেয়ে এখানে বসেছি তবে গাড়ি আসার শব্দ শোনলেই সরে যাবো।

গরু ক্রয় করতে আসা সুয়েব আহমদ মিটু বলেন, বাজারের ভিতরে জায়গা না থাকায় রেল লাইনের উপরে বাজার বসেছে। এখানে ভাল গরুগুলো রাখা হয়েছে তাই ঝুকি নিয়েই রেল লাইনের উপরে ক্রয় করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রশাসন বা রেল কর্তৃপক্ষ নজর দিলে যে কোন সময় এ বাজার সরানো যেতো।
 
শমসেরনগর বাজার পশুর হাটের ইজারাদার মশাহিদ মিয়া বলেন, জায়গার অভাবে রেল লাইনের উপরে এবং রেলের জায়গায় গরুর হাট বসিয়েছি।

কোনও সমস্যা হবে না জানিয়ে বলেন, আমার লোকজন রয়েছে গাড়ি আসলেই সবাইকে সরিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, বাজার খুবই মান্দা। অর্ধেক টাকাও উঠবে না।

শমসেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, শমশেরনগর গরুবাজারের কোন জায়গা নাই। ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার্থে ইজারাদার আলোচনা সাপেক্ষে রেল স্টেশনের পাশে গরু বাজার বসিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঝুকিপূর্ণ হলেও ইজারাদারকে নিদের্শ দেওয়া আছে সতর্কতার সাথে বেছাকেনা করতে। এবং নিরাপত্তার জন্য ৭/৮জন লোক রাখার জন্য। তাই দুর্ঘটনার কোন সআশঙ্কা নেই।
 
শমসেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ পশুর হাটের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ হাটের কোন অনুমতি আছে কিনা আমার জানা নাই। ইজারাদারকে বাধা দেওয়ার পরও পশর হাট বসিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত