নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ আগস্ট, ২০১৭ ২০:৩৯

ফ্যাশন হাউসে নেই ‘ঈদের আমেজ’

রোজার ঈদের মতো কোরবানির ঈদের কেনাকাটা কখনো জমে উঠে না। চিরচেনা ভিড়ের দেখা মিলেনা কোরবানির ঈদে। সবার আগ্রহ বেশি পশু কোরবানিতে। তারপরও এবারের ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের বিভিন্ন বিপনী বিতানে চলছে নিরব কেনাকাটা।

ঈদের মাত্র একদিন বাকি থাকলেও মার্কেট জমে উঠার কোনো আলামত দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে তারা জানিয়েছেন, শেষের দিন কেনাকাটা বাড়বে। শিশুদের কাপড় ও বড়দের পাঞ্জাবির চাহিদা রয়েছে এবার। ব্যতিক্রমী পাঞ্জাবি বাজারে উঠায় বিক্রিও হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। আবার বেশ কিছু মার্কেট ও দোকান রয়েছে যেগুলোতে ঈদের বিকিবাট্রা ভালোই হচ্ছে। বিশেষ করে ফুটপাত, হকার্স মার্কেট ও হাসান মার্কেটে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের লোকদের উপস্থিতি রয়েছে রয়েছে লক্ষনীয়। আধুনিক মার্কেটগুলোর তুলনায় এসব মার্কেটে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।  

বিপনীবিতানের ব্যবসায়ীরা বলছেন ঈদের আর মাত্র দুইদিন বাকি, তাছাড়া দূর্গা পূজারও বেশি দেরি নেই। এমন সময় কিছুটা হলেও ব্যস্ত সময় কাটানোর কথা থাকলেও বিকিকিনি না থাকায় অলস সময় কাটাতে হচ্ছে। বিকিকিনির এমন মন্দা অবস্থার জন্য বন্যার প্রভাবকেই দায়ী করছেন তারা।

সিলেট নগরীর ব্যস্ততম জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার ও আম্বরখানা এলাকার প্রধান বিপনী বিতানগুলোর মধ্যে বৃহস্পতিবার সরজমিনে কাকলী শপিং সেন্টার, আল হামরা, মধুবন, ব্লুওয়াটার, সিলেট মিলেনিয়াম, শুকরিয়া সহ সিলেটের জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক ও কুমারপাড়া এলাকার বিভিন্ন ব্রান্ডের দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা যায় বিকিকিনি তেমন নেই। ক্রেতার আনাগোনাও কম।

জিন্দাবাজারস্থ সখী ফ্যাশন হাউসের বিক্রয় কর্মকর্তা পিউলি দাশ বলেন, বিকিকিনি তেমন একটা নেই। ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আযহায় বিকিকিনি কম হলেও এই বছরের মতো এতো কম কোন বছর হয়নি। পূজারও তেমন বাকি নেই। তবু এখনসো ব্যবসা জমেনি।।

নগরীর বিভিন্ন ব্রান্ডশপে ভালোই বিকিকিনি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা। এসব শপ ও বিপনী বিতানে ভারতীয় বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালের নামে পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোষাক উঠেছে। গত ঈদে বাজারে উঠা কালো রঙের ‘রইস’ কাবলি স্যুট, ‘বাহুবলী’, ‘সুলতান’, ‘পিকে’ ছাড়াও এবার ঈদে নতুন কিছু ডিজাইনের পাঞ্জাবি বাজারে উঠেছে। এসব পাঞ্জাবি ৮শ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

নয়াসড়ক এলাকার মাহা ফ্যাশন হাউসের সত্বাধিকারী মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম জানান, প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরণের পোষাক বিক্রি হচ্ছে। মাহা সব সময় ব্যতিক্রমী পোষাক তুলে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোষাক বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত