নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৬:৩৭

নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোরবানি নয়

ঈদুল আযহায় নগরীতে পশু কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরশেন। নির্ধারিত এসব ২৮ টি স্থানের বাইরে কোরবানির না দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সিসিক।

জানা যায়, কোরবানির জন্য সিলেট নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডে ২৭ টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সিসিক। প্রতিটি স্থানে কোরবানি পরিচালনায় একজন করে ইমাম ও কসাই থাকবেন বলেও জানায় সিসিক সূত্রে।

এ ছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে খালি জায়গায় কোরবানির জন্য আরো একটি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে নগরবাসীকে।

এজন্য প্রয়োজন মতো ব্যাগ, ঝুড়ি, চাটাই, মগ, বালতি সরবরাহ করা হবে বলে জানান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব ।

এর পাশাপাশি বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য পরিষ্কার-পরিছন্ন কর্মী আর প্রয়োজনীয় যানবাহনেরও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সিসিক। কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নগরীর সকল বর্জ্য নিষ্কাশন করে নগরীকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য এসব প্রস্তুতির নেয়ার কথা জানিয়েছে সিসিক কর্তৃপক্ষ।

নগরীর পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় নির্ধারিত এসব  স্থানে পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। এজন্য নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানিতে উদ্ভূদ্ধ করতে প্রচারণা চালিয়েছে সিসিক। নাগরিকদের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি, মাইকিং করছে সিসিক কর্তৃপক্ষ।

এ পুরো প্রক্রিয়া মনিটরিংয়ে রয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ বিভাগ) রুহুল আলমের নেতৃত্বে কয়েকটি টিম।

গত দুই বছর এ উদ্যোগ নেয়ে হলেও নির্ধারিত স্থানের বাইরেও অনেক জায়গায় কোরবানি দিতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ নগরবাসী তাদের নিজ বাসার গ্যারেজ, খালি জায়গা, রাস্তা ও গলিতে পশু কোরবানি দিতে দেখা যায়।

তবে এবার যাতে নগরবাসী নির্ধারিত স্থানেই কোরবানি প্রদান করেন সে লক্ষ্যে প্রচাপরণা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব।

তিনি সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। মাইকিং, প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রাহকদের মধ্যে ২৫ হাজার ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের নির্ধারিত এই ২৮ টি স্থানে কসাইও থাকবেন।

তিনি আরও বলেন,  নগরবাসী যাতে নির্বিঘ্নে পশু কোরবানি দিতে পারে এবং যত দ্রুত সম্ভব বর্জ্য অপসারণ করে নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যায় তার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর সেটা সহজ হবে নগরবাসী নির্ধারিত স্থানগুলোতে পশু কোরবানি দিলে। এতে তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

সিসিকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নগরীর ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে  সিসিক কর্তৃক যে কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে সেটা অবশ্যই একটা ভালো উদ্যোগ। প্রতি বছরই কোরবানির পর রাস্তাঘাটে চলাচল বিঘ্নিত হয়। নগরীর প্রত্যেক বাসিন্দা যদি তাদের কোরবানি সিসিকের নির্ধারণ করা যায়গায় দেন তাহলে পরিবেশের সাথে সাথে নগরীতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করা যাবে।

নগরীর ৩নং ওয়ার্ড বাসিন্দা রাসেল খান জানান, প্রতি বছরই বর্জ্য অপসারণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও শেষে যত্রতত্র অবৈধ হাট ও যেখানে সেখানে কোরবানি দিতে দেখা যায়। এ কারণে ঈদের দুইদিন পরও বর্জ্য পরিষ্কার হয় না। এ ব্যাপারে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন তিনি।

এদিকে নগরীর শেখঘাটের বাসিন্দা বদরুল আলম বলেন, কোরবানির দিন সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে পরিবহন সমস্যা, প্রয়োজন মতো পরিবহনের অভাবে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে যেতে পারি না। তাই বাধ্য হয়েই নিজের বাড়ির সাম্নের খালি জায়গায় কোরবানি দিতে হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত