ওসমানীনগর প্রতিনিধি

০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০১:৪৭

ওসমানীনগরে শিশু ও কিশোরীকে ধর্ষণ, এক ধর্ষক গ্রেপ্তার

সিলেটের ওসমানীনগরে এক শিশু ও এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। । গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা উছমানপুর ইউপির পড়িয়ারখাই ও দয়ামীর ইউপির খাপন গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা দুটি ঘটে। এক সাথে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় গোটা উপজেলায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় শিহাব উদ্দিন(২২) নামের এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত শিহাব বিশ্বনাথ উপজেলার করপাড়া গ্রামের গৌছ আলীর ছেলে। শুক্রবার রাতে ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউপির খাপন গ্রাম থেকে পুলিশ শিহাবকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার উছমানপুর ইউপির পড়িয়ারখাই গ্রামের আছাব আলীর বাড়ির শিশুদের সাথে খেলতে আসে একই গ্রামের পাশের বাড়ি নয় বছরের শিশু ও পড়িয়ারখাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী। বাড়ির মালিক আছাব আলী ঘরে না থাকার সুযোগে আছাব আলী পাশের বাড়ির ঐ শিশুটিকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের ফলে শিশুটির গোপনাঙ্গ দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার(ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক আছাব আলী পলাতক রয়েছে। পাশবিকতার শিকার শিশুটি অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ ও শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

এ দিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার দয়ামীর ইউপির খাপন গ্রামে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে শিহাব উদ্দিন (২২) নামের এক যুবক। ধর্ষণের অভিযোগ শিহাব উদ্দিনকে এক মাত্র আসামী করে ঐ কিশোরী বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ১ সেপ্টেম্বর (মামলা নং-০১) দায়ের করলে পুলিশ শিহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, বিশ্বনাথ উপজেলার করপাড়া গ্রামের গৌছ আলীর ছেলে শিহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউপির খাপন গ্রামের তার নানা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। একই গ্রামের পাশের বাড়ির আব্দুল্লাহর বাড়িতে পরিবারের সাথে থাকতো দরিদ্র এই কিশোরী। পাশের বাড়ির বাসিন্দা হিসেবে প্রায় সময় শিহাব এই কিশোরীর ঘরে যাওয়া আসা করতো। এ সুযোগে শিহাব বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে বিয়ের প্রলোভনে শিহাব কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত ১৫ মার্চ শিহাব এই কিশোরীকে সর্বশেষ ধর্ষণ করলে এই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হবার পর শিহাব বিশ্বনাথ বাজারে কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। বিষয়টি জানাজানি হবার পর ঘটনাটি বিচার সালিশে নিষ্পত্তি না হওয়ায় পাশবিকতার শিকার কিশোরী বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ শিহাবকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা ওসমানীনগরে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আসামী শিহাবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আর শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আছাব আলীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত