নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ নভেম্বর, ২০১৭ ১৭:৪৪

পরিবহন শ্রমিক নেতা ফলিকের উপর হামলা, যুবলীগকে দায়ী

সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকের উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দুপুরে এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানায় এজাহার দিয়েছেন ফলিক।

তবে হামলায় তার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চালকের বুদ্ধিমত্তায় এসময় বেঁচে যান ফলিক। টার্মিনাল নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা ফলিকের। এঘটনায় যুবলীগের একটি গ্রুপ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে টার্মিনাল থেকে গোলাপগঞ্জে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ফলিক। আলমপুর শিক্ষাবোর্ডের সামনে আসা মাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশা তার গতিরোধ করে। অটোরিকশা থেকে সশস্ত্র ৪/৫ যুবক নেমে ফলিকের গাড়িতে হামলা চালায়। এতে তার গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। এসময় গাড়ি চালক বুদ্ধিমত্তার সাথে দ্রুত পাশেই আলমপুর পুলিশ ফাঁড়িতে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েন। ফলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

কালাম বলেন, হামলার খবর পেয়ে রাতেই আমি ঘটনাস্থলে যাই। মোগলবাজার থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যরাও আসেন।

হামলার ব্যাপারে সেলিম আহমদ ফলিক সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যুবলীগের একটি গ্রুপ বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছে। এতে মালিক-শ্রমিকরা বাধা দিচ্ছেন। এই ক্ষোভ থেকে সেই সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালাতে পারে।

বিভিন্ন ইস্যুতে ঘনঘন পরিবহন ধর্মঘট ডেকে সমালোচিত এই শ্রমিক নেতা নিজের হামলার ঘটনায় এখনই ধর্মঘটে যাবেন না জানিয়ে বলেন, শনিবার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। তাই এখনই আমরা এ ধরণের কর্মসূচিতে যাবো না। তবে হামলাকারীরা চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার না হলে কঠোর কর্মসূচি দেবো।

এব্যাপারে মোগলবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হোসেন সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হামলার খবর শুনে আমি রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তবে তিনি হামলাকারীদের চিনতে পারেননি। আমরা তাদে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। টার্মিনাল নিয়ে বিরোধ থেকে এই হামলা হতে পারে।

ওসি বলেন, ফলিক একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। আমরা সেটি তদন্ত করে দেখছি।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত