সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ নভেম্বর, ২০১৭ ১৮:০৯

বোমা মেশিন ও পাথরখেকোদের লুটপাট বন্ধে বাপার ৯ দাবি

অবৈধ বোমা মেশিন ও পাথরখেকোদের লুটপাট বন্ধে ৯ দফা দাবি জানিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সিলেট।

দাবিগুলো হচ্ছে- সিলেট বিভাগের সর্বত্র পরিবেশ বিধ্বংসী যন্ত্র বোমা মেশিনের ব্যবহার বন্ধ করা, বোমা মেশিনের তান্ডবে ভূপ্রকৃতির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা, বোমা মেশিনের মাধ্যমে প্রকৃতি ধ্বংসকারী চক্রের তালিকা প্রণয়ন ও বিচারের মুখোমুখি করা, প্রয়োজনে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা, অন্যতম সম্পদ পাথর যত্রতত্র উত্তোলনকারী লুটেরাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, পাথর কোয়ারিতে (পাথর মহাল) ঘটে যাওয়া অর্ধশতাধিক শ্রমিক মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও নিহত শ্রমিক পরিবারকে চিহ্নিত অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেওয়া, দরিদ্র শ্রমিকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে হত্যা মামলার বিচার দ্রুত করা, পিয়াইন-ডাউকি-রাংপানি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা জাফলংয়ের জন্য বিজ্ঞানবিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা এবং ভোলাগঞ্জ-বিছনাকান্দি-শ্রীপুর-উৎমাছড়া-লোভাছড়া-যাদুকাটা নদী এলাকাকে পর্যটন উপযোগী স্থান হিসাবে সংরক্ষণ করা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীতে মানববন্ধন কর্মসুচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

রাজনীতিবিদ সিকান্দার আলীর সভাপতিত্বে ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত গুপ্তের সঞ্চালনায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিকালে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, কোম্পানীগঞ্জে পরিবেশ ধ্বংসের মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং জাফলং-বিছনাকান্দি-শ্রীপুর-লোভাছড়ায় পাথরখেকোদের চিহ্নিত করে মামলার আওতায় আনতে হবে। সিলেটের প্রকৃতি ও পরিবেশকে বাঁচাতে হলে সর্বস্তরে নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি জাফলং-ভোলাগঞ্জ-বিছনাকান্দি-শ্রীপুর-উৎমাছড়া-লোভাছড়া-যাদুকাটা ও মাহারাম নদনদীসহসিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংসকারী বোমা মেশিনের (যান্ত্রিক পদ্ধতি) ব্যবহার বন্ধ করতে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

এসময় জানানো হয়, আগামী ২৩ নভেম্বর বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন জাফলং-ভোলাগঞ্জ-বিছনাকান্দি-শ্রীপুর-উৎমাছড়া-লোভাছড়া-যাদুকাটা ও মাহারাম নদনদীসহসিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংসকারী বোমা মেশিনের (যান্ত্রিক পদ্ধতি) ব্যবহার বন্ধ করতে ৯ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরণ করবে। প্রায় এক হাজার নাগরিকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে। সমাবেশে উত্থাপিত ৯ দফা দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে প্রথম স্বাক্ষর করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনে সাবেক মেয়র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

এসব দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সিলেট শাখার সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, ব্লাস্ট সিলেট ইউনিটের কো-অডিনেটর এডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, সাংস্কৃতিক সংগঠক এনামুল মুনির ও শামসুল বাসিত শেরো, সমাজ অনুশীলন সিলেটের সদস্য সচিব, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফেকাল্টি হাসান মোরশেদ, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশের সিলেট সমন্বয়ক গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের মুখপাত্র দেবাশিষ দেবু, বাপা-সিলেটের সংগঠক ও দৈনিক সবুজ সিলেটের বার্তা সম্পাদক ছামির মাহমুদ, বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদের সভাপতি সৈয়দ আহমদ বহলুল।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জনতা পার্টি সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক মো শফিকুর রহমান শফিক, সারী নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদি, ভূমিসন্তান বাংলাদেশ-এর আশরাফুল কবির, গ্রীন এক্সপ্লোর সসাইটির সভাপতি তারিক আহমদ অনিক, প্রাধিকারের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি মনজুর কাদের চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক হোসেইন আহমদ শিপন, ওয়েমেন্স ওয়ার্ড সম্পাদক অদিতি দাস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত