কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০১ জুলাই, ২০১৮ ১৭:৪০

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ছিনতাই, ৬ ঘন্টা পর আসামিসহ আটক ৫

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১২ মামলার এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় সংঘবদ্ধ দল হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। পুলিশের সাড়াশি অভিযানে ৬ ঘণ্টা পর ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। হামলায় একজন এসআই ও একজন এএসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

শনিবার (৩০ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভেড়াছড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, ভেড়াছড়া গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে সোয়েব আহমদ (৩৮) ৯টি জিআর ও ৩টি সিআর মামলার পলাতক আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় ভেড়াছড়া গ্রামের লিয়াকত মিয়ার দোকানের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন ও উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। সোয়েবকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় একই গ্রামের জুবের মিস্ত্রীর বাড়ির সামনে আসা মাত্রা ৩০-৩৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামি সোয়েবকে ছিনিয়ে নেয়।

হামলায় উপপরিদর্শক জাকির হোসেন (৫৭), উপসহকারী পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম (৩৮), ৮৩৩নং পুলিশ সদস্য মামুনুর রশীদ (২৫) ও ৭৫৫নং পুলিশ সদস্য আব্দুল মজিদ (২৮) আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার পর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামানের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে ভেড়াছড়া গ্রামসহ আশপাশের গ্রামে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানের ৬ ঘণ্টা পর ভোর রাত সাড়ে ৩টায় ছিনিয়ে নেওয়া আসামি সোয়েব আহমদসহ আরও ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।

আটককৃত অন্যান্যরা হলেন লিয়াকত মিয়া (৩৭), লুৎফুর (৪০), শাহাবউদ্দীন (২৯) ও লাল মিয়া (৪৫)। হামলা চালিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আর ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রোববার বেলা ৩টায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকতাদির হোসেন পিপিএম এ ঘটনার ও মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোয়েব আহমদসহ রোববার ভোর রাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত