বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

০৫ আগস্ট, ২০১৮ ০১:৩৪

বিশ্বনাথে ‘লন্ডনি হুসেন’ গ্রেপ্তার

২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর বিশ্বনাথের উত্তরা ব্যাংক থেকে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হন ভগিরচকের বউ-শাশুড়ি। এ ঘটনার পর ব্যাংকের ভিডিও ফুটেজ দেখে দীর্ঘ ৮ মাস তদন্ত শেষে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং আন্ত:বিভাগ ছিনতাইকারীদের সর্দার লন্ডনী হুসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।

শনিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ওসমানীনগরের রাখালগঞ্জ বাজার থেকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতের পুরো নাম মো. আলী হুসেন তৌফিক ওরফে লন্ডনী হুসেন (২৮)। তিনি ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের নাগেরকোনা গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে। দীর্ঘদিন হুসেন ৮ হাজার টাকা বেতনে বিশ্বনাথের সোনালী ব্যাংকে পিয়নের চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর তাৎক্ষনিকভাবে বিশ্বনাথ থানা কম্পাউন্ডে বিশ্বনাথে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম।

ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন সেট ও হুসেনের পরনের শার্ট-প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছে জনিয়ে এ সময় ওসি সামসুদ্দোহা বলেন, বিশ্বনাথসহ বৃহত্তর সিলেটের অধিকাংশ ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে হুসেন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর বিশ্বনাথের উত্তরা ব্যাংক থেকে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হন প্রবাসী জরিনা খাতুন (৭০) ও তার ছেলের বউ জেবুন নাহার (৩০)। জরিনা বেগম উপজেলার ভগিরচক (একাসুবাই) গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুলহাস উদ্দিনের মা আর জেবুন নাহার তাঁর সহধর্মিনী। ছিনতাইয়ের ঘটনার পরদিন ৩০ নভেম্বর জুলহাসের স্ত্রী জেবুন নাহার বাদী হয়ে থানায় ছিনতাই মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১৪)। তবে, দায়েরকৃত ওই মামলায় (এক) ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়।

এদিকে ২০১৮ সালের ১৬ মে বিশ্বনাথের ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে যাবার পথে ছিনতাইর শিকার হন আরেক নারী। বউ-শ্বাশুড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর ব্যাংকের সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে দীর্ঘ ৮ মাস পর আত্মগোপনে থাকা লন্ডনী হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত