ছাতক প্রতিনিধি

২৩ আগস্ট, ২০১৮ ২২:৩৪

মানিকগঞ্জের ‘রাজাবাবু’র কোরবানি হলো গোবিন্দগঞ্জে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গরু মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার খলিলুর ইসলাম খান্নুর ‘রাজাবাবু’কে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সৈদেরগাঁও গ্রামে কোরবানি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার ছাতক উপজেলার সৈদেরগাঁও গ্রামের শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুনসিফ আলীর বাড়িতে কুরবানি দেয়া হয় ‘রাজাবাবু’কে।

মুনসিফ আলীর ব্যক্তিগত সহকারী মো.শহীদুল ইসলাম শহীদ জানান, মঙ্গলবার ঢাকার গাবতলী থেকে সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় রাজা বাবুকে কেনেন গোল্ডেন লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও মাল্টিপ্লান লিমিটেডের চেয়ারম্যান, এনআরডিসিবি কর্মাসিয়াল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দ মুনসিফ আলী।

বুধবার রাতে ট্রাকযোগে ‘রাজাবাবু’কে গোবিন্দগঞ্জ নিয়ে আসা হয়। ‘রাজাবাবু’র পাশাপাশি আরও ছয়টি গরু কোরবানি দিয়েছেন মুনসিফ আলী।

শহীদ আরও জানান, ‘রাজাবাবু’সহ মোট ছয়টি গরুর মাংস হয়েছে ১০২ মণ। এই ছয়টি গরুর মাংসই এলাকার মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

‘রাজাবাবু’র উচ্চতা ছিল ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি। বুকের মাপ ১০ ফুট, লম্বায় ৮ ফুট। আর ওজন ৫৫ মণ। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার উপজেলার দেলুয়া গ্রামের খামারি খাইরুল ইসলাম খান্নু মিয়ার অতিযত্নে পালন করেন হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরু।

প্রসঙ্গত,  সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে রাজাবাবুর লালন-পালন হচ্ছে রাজার মতোই রাজাবাবুর থাকার ঘরে লাগনো হয় পাঁচটি ফ্যান, ২৪ ঘণ্টা ২০ বার করানো হতো গোসল, প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকে ২০ কেজি ভুষি, ১০ হালি কলা, দুই কেজি মাল্টা, পাঁচ হালি কমলালেবু, দুই কেজি চিড়া, এক পোয়া ইসুবগুলের ভুষি, কয়েকটি বেল ও ডাব দিয়ে বানানো বিশেষ শরবত ইত্যাদি।

এছাড়াও এই ষাঁড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখতেন চিকিৎসক আর রাজাবাবুর নিরাপত্তায় রাতে থাকতো পুলিশ টহলও।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত