ওসমানীনগর প্রতিনিধি

২৩ নভেম্বর, ২০১৮ ২১:১৭

বালাগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ!

বালাগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। নিজ বাড়িতে তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শিওরখাল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদরাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে বলে জানা গেছে।

বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ওই কিশোরী প্রয়োজনীয় কাজে বসত ঘরের বাইরে বের হয়। আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিবেশি কয়েকজন বখাটে তাকে জোর করে ধরে বাড়ির পরিত্যক্ত একটি গোয়াল ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে বাড়ির গোয়াল ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী আতউর রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।

গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বাবা বলেন, ‘প্রতিবেশী আব্দুল করিমের পুত্র আহাদ আলী ও ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীর পুত্র আজর আলীসহ তাদের সহযোগী ৫-৬ বখাটে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি, এখনও তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমি ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই।’

স্থানীয়রা এই এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। অভিযুক্তরা দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে শনিবার থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য লোকন আহমদ জানান, এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত আটটার দিকে স্থানীয়দের উদ্যোগে স্থানীয় মাদরাসা বাজারে প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। রাতেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেয়েটির পরিবার ও প্রতিবেশীর বক্তব্য গ্রহণ করেছি। মেয়েটির পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন ঘটনার সাথে ৫-৬ জন জড়িত ছিল। প্রাথমিক অবস্থায় দুই জনের নাম জানা গেছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত