জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ১৮:৩৮

নিখোঁজের ১৮ মাস পর জগন্নাথপুরের প্রবাসীর লাশ মিললো জৈন্তাপুরে

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথাপুর বাসিন্ধা লন্ডন প্রবাসী আব্দুল গফুর নিখোঁজের ১৮ মাস পর লাশের অবস্থান সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামটিলা সনাক্ত করেছে পুলিশ।এ হত্যার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়- সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মৃত মদরিছ আলী ছেলে অব্দুল গফুর (৫৫) বিগত ২০১৭ সনের ৮ মে যুক্তরাজ্য (লন্ডন) থেকে বাংলাদেশে আসেন। এর পর ঐ দিন সকাল ১০ টায় তার মামার বাড়ীতে প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করে সিলেট শহরে কাজের জন্য বের হন, এর পর থেকে আব্দুল গফুরের কোন সন্ধান পায়নি পরিবার। তিনি লন্ডনেও ফেরত যাননি।

এঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানায় নিহতের নিকট আত্মীয় লাল মিয়া বাদী হয়ে একটি মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। ডায়েরীর সূত্র ধরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন সূত্র অবলম্বন করে জানতে পারে জৈন্তাপুর উপজেলার সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের ১ জন কর্মচারী আব্দুল গফুরকে অপহরন বা নিরোদ্দেশ করেন। এ ঘটনাটির রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান।

রবিবার বিকাল ৪টায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাটে অভিযান পরিচালনা করে ৩ জন কে আটক করে। আটককৃতরা হল- জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্রের অফিস সহায়ক সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর সদর বাক্ষণগাঁও উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মর্তুজ আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ(৫২), তার জামাতা জৈন্তাপুর দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক, কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার দত্তের কান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আনোয়ার হোসেন(৩০), জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট মোকামটিলা গ্রামের মোঃ ইদ্রিছ আলীর ছেলে মোঃ জুনাব আলী(৪২)। পুলিশি জিজ্ঞাসাদে আটককৃতরা ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং মাটিচাপা দেওয়ার স্থান পুলিশকে দেখিয়ে দেয়।

পুলিশ স্থানটি লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে রাখে এবং পাহারাদার নিযুক্ত করে। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ সিলেট দরগা মহল্লাস্থ হোটেল রাজরানী থেকে নিহত আব্দুল গফুরের ব্যাগ উদ্ধার করে এবং আবুল কালামের বাড়ী থেকে প্রবাসীর পাসপোর্ট উদ্ধার করে।

এবিষয়ে জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান জানান- মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদায়ক হত্যাকান্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং মূলহোতাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে টাকার লোভে প্রবাসীকে হত্যা করে লাশ জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামটিলায় মাটিচাপা দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ পেলে আমরা লাশ উত্তোলন করব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত