সদরুল আমিন ছাতক প্রতিনিধি

২৭ নভেম্বর, ২০১৮ ২২:১৯

চলাচলের জন্য উন্মুক্ত দোয়ারাবাজারের সুপারক্রিট সেতু

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের গিলাতলী খালের উপর নির্মানকৃত ‘সুপারক্রিট সেতু’ নামের ব্রিজটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে উদ্বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিজটি খুলে দেয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ব্রিজটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেনস্টেই। আর সুপারক্রিট সেতু নামের এ ব্রিজটি নির্মাণ করেছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড।

কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নির্মিত এই ব্রিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ক্রিস্টফ হ্যাসিগ, প্রধান নির্বাহী রাজেশ সুরানা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিরেক্টর ই আর কিম, লিগ্যাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর কাজী মিজানুর রহমান, মার্কেটিং অ্যান্ড কমার্শিয়াল ট্রান্সফরমেশন ডিরেক্টর আসিফ ভূঁইয়া।

এসময় রাজেশ সুরানা তাঁর বক্তব্যে বলেন, শুরু থেকেই লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ সবসময়ই স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য নানাবিধ কাজ করে আসছে। এই ব্রিজ নির্মাণের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হলো।

কোম্পানির নিজস্ব প্রযুক্তি ও কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি ৩২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ মিটার প্রশস্ত এ ব্রিজের মাধ্যমে এক এলাকার সাথে অন্য এলাকার বাসিন্দা ও কোম্পানির সম্পর্ক আরো দৃঢ় হলো বলেই মনে করছেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী রাজেশ সুরানা।

একই মত স্থানীয়দেরও। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গিলাতলী খালটিতে সারা বছরই পানি থাকে। কখনও হাঁটু পানি, কখনও কোমর পানি পার হয়েই নিত্যদিনের কাজ সারতে হয় এলাকাবাসীর। সবচেয়ে কষ্ট ভোগ করতে হতো এখানকার শিক্ষার্থীদের। খাল পার হয়ে ভেজা কাপড়েই তাদের যেতে হতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বর্ষাকালে অবস্থা হয় আরো করুণ। তখন কলাগাছের তৈরি ভেলাই হয়ে ওঠে একমাত্র ভরসা। অত্যন্ত খরস্রোতা হওয়ায় এর ঝুঁকিও বেশি। এমতাবস্থায় ব্রিজটি এলাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, এমন প্রত্যন্ত এলাকায় ব্রিজ নির্মাণ করে লাফার্জহোলসিম জনসাধারণের যে উপকার করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। যে জায়গাটাতে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে তাঁর দূরত্ব ছাতকে অবস্থিত লাফার্জহোলসিম প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার। এমন নয় যে এই ব্রিজ তাদের প্রয়োজন ছিল। এটা সত্যিই শুধুমাত্র এই এলাকার মানুষের জন্য। এখানকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে এই ব্রিজ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।

গিলাতলী খাল সংলগ্ন এলাকাকে অত্যন্ত সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন উল্লেখ করে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেনস্টেইন বলেন, সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সামগ্রিক উন্নয়নে অংশীদার হতে চায় সুইজারল্যান্ড। লাফার্জহোলসিম আজ যে ব্রিজটি এই এলাকার সকলের জন্য নির্মাণ করলো তা জনসাধারণের সমস্যার যেমন সমাধান করবে সেই সাথে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ক্রিস্টফ হ্যাসিগ তার বক্তব্যে বলেন, লাফার্জহোলসিম নির্মাণ খাতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি এবং এই কোম্পানি টেকসই উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। পৃথিবীর সব দেশেই নিজস্ব প্ল্যান্টের পার্শ্ববর্তী এলাকার জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে বিশ্বাস করে লাফার্জহোলসিম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত