বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৮:৫৫

বিশ্বনাথে আগুনে পুড়লো চার বসতঘর

সিলেটের বিশ্বনাথে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লেগে চারটি আধাপাঁকা টিনসেডের বসতঘর পুড়ে গেছে।

সোমবার (২৫ফ্রেব্রুয়ারি) ভোররাতে উপজেলার খাজান্সি ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।  এই অগ্নিকান্ডে মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে মনির মিয়া, সিরাজ মিয়া, ইলিয়াস মিয়া ও মৃত মুক্তার মিয়ার চারটি ঘর পুড়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোররাত ৩টারদিকে প্রথমে মৃত মুক্তার মিয়ার বসতঘরে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়।  এসময় আগুনের লেলিহান শিখা পাশের ঘরের মনির মিয়া, সিরাজ মিয়া, ইলিয়াস মিয়ার ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।  তাৎক্ষনিকভাবে ওই চার পরিবারের সদস্যরা শুধমাত্র পরনের কাপড় নিয়ে বের হয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ছাতক উপজেলার ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীর সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।  তবে এর আগেই ওই চারটি পরিবারের বসতঘরসহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবি করেছেন স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে চার পরিবারের প্রায় ৫০লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে, ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীদের দাবি এ ঘটনায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ছাতক ফায়ার ব্রিগেডের সাব-অফিসার নাজমুল হক বলেন বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অগ্নিকান্ডর খবর পেয়ে সোমবার দুুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তালুকদার গিযাস উদ্দিনকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় ৪টি পরিবারের লোকজনকে শীত নিবারনের জন্য ৮টি কম্বল এবং ২০লিটার সয়াবিন তৈল, চিড়া মুড়িসহ শুকনো খাবার দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে শীতের কম্বলসহ শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত