জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ২০:০৩

জগন্নাথপুরে বাঁধের কাজে অনিয়ম, আটক ৩

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় প্রকল্পের তিন সভাপতিকে আটক করা হয়। পরে মুছলেকা আদায়ের মাধ্যমে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে উপজেলার নলুয়ার হাওরের বেড়িবাঁধের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ আওতাধীন ১৫ নম্বর বেড়িবাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বেতাউকা গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল মিয়া ও তাঁর ছোট ভাই ১৬ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি আবুল কাশেম ও ৫০ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি মশহুদ আহমদ।

উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্র জানায়, ম‡র্ডরহ স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক এমরান হোসেন ও সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হারুনুর-অর-রশিদের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল জেলার অন্যতম জগন্নাথপুরের নলুয়া হাওরের কয়েকটি বোরো ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ পরির্দশন করেন। পরিদর্শনকালে বেতাউকা এলাকায় ১৫ ও ১৬ নম্বর প্রকল্পের কাজে অনিয়ম থাকায় ওই দুই প্রকল্পের সভাপতিকে আটক করে স্থানীয় নাচনিবাজারে নিয়ে গেলে স্থানীয়দের উপস্থিততে আগামী তিনদিনের মধ্যে নীতিমালা অনুয়ায়ী বাঁধের কাজ শেষ করা হবে এরকম অঙ্গীকার নিয়ে আটক দুই ভাইকে ছেড়ে দেয়া হয়। অপর অভিযানে নলুয়া হাওরের পোল্ডার-২ আওতাধীন ৫০ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি মশহুদ আহমদকে আটক করে সন্ধ্যার দিকে মুছলেকার মাধ্যমে তাঁকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক এমরান হোসেন বলেন, বাঁধের কাজে অনিয়ম ও ত্রুটির কারণে তিন পিআইসির সভাপতিকে আটক করি আমরা। পরে এলাকাবাসীদের উপস্থিতিতে মুছলেকা আদায় করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাঁরা অঙ্গীকার করেছেন আগামী তিনদিনের মধ্যে সরকারি নিয়ম মোতাবেক বাঁধের কাজ সম্পন্ন
করবেন। অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া তাঁর নিজের নামে, তার আপন ছোট ভাই আবুল কাশেম ও তাদের স্বজনদের নামে ৫টি প্রকল্পের কাজ অনিয়মের মাধ্যমে ভাগিয়ে নেন।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া বলেন, যার যার যোগ্যতায় তারা কাজ পেয়েছেন। এখানে আমার কিছু নেই।  পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ৫০ টি প্রকল্পে ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দে  ৩২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাটির কাজ ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল (ইউএনও) আলম বলেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বাঁধের মেরামত ও সংস্কার কাজের নির্ধারিত সময়। আমরা আশাবাদি সঠিক সময়ের মধ্যেই হাওরের বাঁধের কাজ শেষ। আটককৃত তিন পিআইসি সভাপতিকে মুছলেকা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত