কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০৯ মার্চ, ২০১৯ ১৭:৫৩

কমলগঞ্জে যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশে খবর দেয় পরিবারের লোকজন। মূতুর কারণ নির্ধারন না করেই পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের পূর্বেই পুলিশ উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে। লাশের সুরত হাল ও পরিবারের সদস্যদের অস্বাভাবিক আচরণ দেখে পুলিশ ঘটনাটি রহস্যজনক মনে করেন। তাই ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর রাসটিলা এলাকায়।

জানা যায়, রাসটিলা গ্রামের উস্তার মিয়ার ছেলে বুলবুল আহমেদ (২৩) শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় বাড়ীর মধ্যে আতœহত্যা করেছে বলে পুলিশে খবর দেয় পরিবারের লোকজন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে  স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দিয়ে সুপারিশ করিয়ে লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করার অনুমতি নেয় পরিবারের লোকজন। এদিকে যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দেখা দিলে তড়িঘড়ি করে দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয়-স্বজন উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হলে বিষয়টি আবারো পুলিশকে অবহিত করা হয়।

শনিবার দুপুরে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক চম্পক দামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল লাশ দাফনের কিছুক্ষণ পূর্বে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত ব্যক্তির ঘাড়ে ও গলায় আঘাতে চিহ্ন দেখে মৃত্যুর কারণ ও ফাঁস লাগানোর আলামত কোথায় এমন প্রশ্নে পরিবারের লোকজন কোনো উত্তর দিতে পারেন না। এছাড়াও মৃত ব্যক্তির তার ২ ভাই বদর ও মামুন রহস্যজনক আচরণ করায় পুলিশের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে। পরে লাশ দাফনের অনুমতি না দিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

এ ব্যাপারে এসআই চম্পক দাম জানান, তার ঘাড় ও গলায় ফাঁস লাগার চিহ্ন অবস্থায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান, আগামী ২৯ মার্চ বুলবুলের বিয়ে হওয়ার কথা, তবে এর আগেই কেন আত্মহত্যা করলো সেটাই ভাবার বিষয়।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান বলেন, রাতে আমাদের স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার কথা বলায় আমরা অনুমতি দিয়েছি। সকালে যখন শুনেছি ফাঁস লাগানোর কথা তখন লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত