হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

০১ এপ্রিল, ২০১৯ ১৯:২২

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

ফাইল ছবি

অবশেষে নীতিগত অনুমোদন পেল হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ সংবাদে খুশির জোয়ারে ভাসছে হবিগঞ্জবাসী।

সোমবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়। 
 
জনপ্রাশসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছাম্মৎ হামিদা বেগম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 
 
পত্রে বলা হয়েছে, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন। যা আপাতত কৃষি, পশু ও মৎস্য বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে। তবে ঠিক কবে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে তার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আরো কিছু প্রক্রিয়া বাকী আছে। বলা হয়েছে, হবিগঞ্জের পছন্দসই কোনো জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হবে।
 
সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ নিউফিল্ডে বিশাল জনসভায় জেলাবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট তিনটি বড় দাবি উপস্থাপন করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি।
 
দাবিগুলো হলো - হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলায় ঘোষণা। 
 
ইতোমধ্যে মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন হয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ। এছাড়া শায়েস্তাগঞ্জও নতুন এবং দেশের সর্বশেষ উপজেলা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতোমধ্যে উপজেলাটির প্রথম আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তিন প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন হতে চলেছে।
 
বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বলেন, ‘হবিগঞ্জবাসী সবসময় জেলার ৪টি আসনে নৌকাকে বিজয়ী করায় হবিগঞ্জকে বলা হয় ২য় গোপালগঞ্জ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হবিগঞ্জবাসীর প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। জেলাবাসীর পক্ষে আমি তিনটি দাবি জানালে তিনি সবকটি দাবি মেনে নেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে দুইটি বাস্তবায়ন হয়েছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনটিও দীর্ঘদিন পূর্বেই খসড়া প্রণয়ন করার পর ওয়েবসাইটে দেয়া হয়। এটি একটি বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত