জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ

১৩ জুন, ২০১৯ ০২:২৩

‘আমার বাবার খুনিদের ফাঁসি চাই’

‘ওপেন হাউজডে’তে খুন হওয়া আ. লীগ নেতার শিশুপুত্র

'আমার বাবা খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তারা আমার বাবাকে খুন করে ফিশারির পুকুরে ফেলে নির্মমভাবে মেরেছে। আমার বাবার সকল খুনিদের ফাঁসি চাই।'

বুধবার বিকেলে দেওকলসের রাজার বাজারে অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথ থানার ওপেন হাউজডে-তে হাউ-মাউ করে কেঁদে এই আকুতি জানায় সম্প্রতি খুন হওয়া দক্ষিণ সৎপুরের আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ আলীর শিশুপুত্র ইব্রাহিম আলী।

এসময় তার কান্নায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফল ইসলাম, বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পংকি খানসহ উপস্থিত জনতাও তাদের চোঁখের পানি সামলাতে পারেন নি। তার বক্তব্যের আগে এলাকাবসীর বক্তব্যেও এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি করা হয়।

জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে এসময় সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফল ইসলাম বলেন, কম সময়ের মধ্যেই আহমদ আলী খুনের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এরই মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

থানার ওসি তদন্ত দুলাল আকন্দের সভাপতিত্বে ও সংগঠক মকবুল আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি পংকি খান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রুনু কান্ত দে।

এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন নিহত আহমদ আলীর বড়ভাই সিকন্দর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মর্তুজ আলী মানিক, বর্তমান ইউপি সদস্য মতিউর রহমান কিরণ, গিয়াস উদ্দিন, জুনেদ আহমদ, জুয়েল আহমদ, রফিক মিয়া, লেবু মিয়া, আলমগীর হোসেন, নুরুজ্জামান, সুলতান আহমদ, নুরুল ইসলাম, ইলিয়াস আলী, আলা মিয়া, আবদুর রু ও লখন মিয়া।

প্রসঙ্গত, গত ৭জুন শুক্রবার ভোররাতে দক্ষিণ সৎপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য আহদ আলীর নিজ ফিশারির পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় জানাজার নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। ঘটনার ২দিন পর থানায় মামলা দেওয়া হয় এবং ফিশারির কেয়ারটেকার জমিরসহ এপর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত