সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ জুন, ২০১৯ ১৯:৫১

ওসমানী হাসপাতাল থেকে হৃদরোগ চিকিৎসার যন্ত্র ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে বরাদ্ধকৃত ‘হার্ট লাং মেশিন’ ঢাকায় ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের দাবিতে ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক প্রতিবাদ’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা "হার্ট লাং মেশিন" ঢাকায় ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করার পাশপাশি স্বাস্থ্যসেবার নামে ভবন নির্মাণ ও সিন্ডিকেট ব্যাবসা বন্ধ করার দাবি জানান।

সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিমের সুচনা বক্তব্যের মাধ্যমে মানববন্ধন শুরু হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অসাধু ডাক্তার ও তাদের মদদপূষ্ট টেকনিশিয়ান সিন্ডিকেটের কূট কৌশলের কারণে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দরিদ্র রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা প্রায় কোটি টাকা দামের একমাত্র সরকারি বাইপাস সার্জারির মেশিনটি ফেরত যাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অন্তত ১১টি উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে ২৫ দফা সুপারিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৭ সালে আইন কমিশনও দেশের স্বাস্থ্য খাতে সমস্যাবলী চিহ্নিত করে এক গবেষণা প্রতিদেনও প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে ১২৫টির উপরে সুপারিশ ছিল। কিন্তু সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি নেই। বরং দিন দিন চরম অরাজকতা ও লুটপাটে  বৃদ্ধিপাচ্ছে স্বাস্থ্যখাতে ।

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ইতিপূর্বে যারা শতবর্ষী আবসিনা ছাত্রাবাস ভবন ভেঙে হাসপাতাল নির্মানের জন্য মায়া কান্না করেছেন তাদের কেউও এখন পর্যন্ত এর প্রতিবাদ করেনি। সিলেটে হাসপাতাল ভবন তৈরির জন্য আন্দোলন করলেও তারা এসব অনিয়ম অব্যবস্থাপনার  দিকে খেয়াল রাখেন না। আমরা ভেবেছিলাম সিলেটের স্বাস্থ্যখাতকে রক্ষা করতে যারা হাসপাতাল ভবন নির্মানের জন্য এত তুরজোর করছেন তারা এই আন্দোলনে এগিয়ে আসবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট এসব সমস্য তাদের নজরে আসে না।  

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সাম্যবাদী দলের সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ধীরেন সিংহ, ডা. মোস্তফা শাহ জামান চৌধুরী বাহার, উদীচী সভাপতি এনায়েত হোসেন মানিক, ওর্য়াকাস পার্টির সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক সিকান্দর আলী, বাসদ মার্কসবাদি সিলেট শাখার আহবায়ক উজ্জ্বল রায়, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমেদ মিশু, চারুশিল্পী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি সামছুল বাসিত শেরো, ভূমিসন্তানের সমন্বয়ক আশরাফুল কবির, নাগরিক মৈত্রীর সভাপতি অ্যাডভোকেট সমর বিজয় শী, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন হাসান, বাঁচাও হাওর আন্দোলনের আহবায়ক সাজিদুর রহমান সোহেল, ধ্রুবতারা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি লায়েক আহমেদ সুমন, দ্যা আর্থ অব অটোগ্রাফের সভাপতি আব্দুল কাদির জীবন, মাসিক মৌমাছির সম্পাদক কে এম জুবায়েল হক, স্থপতি রাজন দাশ,  প্রণবকান্তি দেব, ক্ষ্যাপা তারুণ্যের মহসিন হোসেন, অ্যাডভোকেট রনেন সরকার রনি, ব্রতচারী আন্দোলনের বিমান তালুকদার, নগরনাটের অরুপ বাউল, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, ধ্রুব গৌতম, রাজিব রাসেল প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত