সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

২৯ জুন, ২০১৯ ২০:১২

সুনামগঞ্জে কমছে নদীর পানি

সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও বর্তমানে কমতে শুরু করেছে পানির পরিমাণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে।

শনিবার (২৯ জুন) মাত্র ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সন্ধ্যা ৬ টায় সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ৭৮ সেন্টিমিটার।

এদিকে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে জেলার তিন উপজেলার ছোট-বড় অন্তত ৫০০ টি মাছ চাষের পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢলের পানিতে হটাৎ করে পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় চাষের পোনা ও মাছ বের হয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাছ চাষীরা।

তবে জেলা মৎস্য অফিসের দাবি জেলায় ৩৩৮ টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১১৭টি, দোয়ারাবাজারে ৩১টি ও বিশ্বম্ভরপুরে ১৯০টি। ৫১ হেক্টর পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুকুর ডুবে যাওয়ায় ৩২ লাখ টাকার ৪৩ লাখ পোনা, প্রায় সোয়া কোটির টাকার মাছ ও ১৭.২৫ লাখ টাকার পুকুর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

সদর উপজেলার হাছননগরের মাছ চাষি রফিকুল ইসলাম কালা মিয়া বলেন,‘ হটাৎ করে টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঢলের পানিতে আমার ২ টি পুকুরের অন্তত ৪ টাকার মাছ ভেসে গেছে।’  
সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন,‘ টানাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হটাৎ করে জেলার সকল নদীর পানি বেড়ে গিয়েছিল। এতে জেলার সদর, বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার ৩৩৮ টি মাছ চাষের পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা হবে।’

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভুঁইয়া জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে ব্যাপক পরিমাণে ঢল নামার কারণেই সুরমা নদীর পানি বেড়েছিল। তবে শুক্রবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদীগুলোর পানি কমছে নতুন করে আর কোন এলাকায় প্লাবিত হয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত