সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

৩০ জুন, ২০১৯ ২১:৫৭

তাহিরপুরে ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রীর জোরপূর্বক গর্ভপাত, ধর্ষক গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জের তাহেরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামের ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী কলেজ ছাত্রী মৃত সন্তান প্রসব করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) রাতে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ধর্ষক একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র মো. ইকবাল হোসনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মেরুয়াখলার আলিম মাদ্রাসা পড়ে। এ ঘটনায় তাহিরপুর থানায় ধর্ষক ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও জোর করে গর্ভপাত ঘটানোর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের করেছেন ওই কিশোরী বাবা।

জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীঘিরপাড় গ্রামের ওই কিশোরীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে গ্রামের ইকবাল হোসেন। কিশোরীটি স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে ইকবাল হোসেনকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে বিয়ে করবে, এমন আশ্বাস দিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে চায় ইকবাল ও তার পরিবার। শনিবার রাতে জোর করে কিশোরীর গর্ভপাত করানো হয়। অপরিপক্ব এক মৃত সন্তান প্রসব করে কিশোরী।

এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ইকবাল হোসেন ও তার মা-বাবাকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে এবং মৃত সন্তানের লাশ উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠায়। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত ইকবাল হোসেনকে রোববার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ ইকবাল হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। গত শনিবার রাতে জোর করে গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। একটি অপরিপক্ব মৃত সন্তান প্রসব করেছে কিশোরী। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও মৃত সন্তানের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সন্তানের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত সন্তান ও অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত