নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:৩৯

কাটাছেঁড়া ছাড়াই কিশোরীর শ্বাসনালী থেকে পিন বের করলেন ওসমানীর চিকিৎসকরা

হিজাবের পিন আটকে গিয়েছিলো এক কিশোরীর শ্বাসনালীতে। কোনোরূপ কাটাছেঁড়া ছাড়াই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই কিশোরীর শ্বাসনালি থেকে পিনটি বের করে আনেন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে ব্রঙ্কোসকপি দিয়ে প্রায় ২৫ মিনিটের চেষ্টায় পিনটি বের করে আনা হয়।

ওই কিশোরীর নাম সুমনা (১১)। সে সিলেটের জকিগঞ্জের খাদিমান গ্রামের আব্দুর রবের মেয়ে।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নন্দ কিশোর সিনহার তত্ত্বাবধানে নাক-কান-গলা ও হেড নেক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. নূরুল হুদা নাঈম পিনটি বের করেন। এতে তাকে সহযোগিতা করেন নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল হাফিজ শাফী, ডা. হাসনাত আনোয়ার, ডা. মনজুরুল হাসান, ডা. তারেক ও ডা. আয়েশা সিদ্দিকা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, মুখ থেকে শ্বাসনালির ভেতরে হিজাব পিন চলে যাওয়ায় গত ২৫ জুন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি করা হয় সুমনাকে। সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন, সুমনার শ্বাসনালির ভেতরে পিন জাতীয় কিছু আটকে আছে। এরপর চিকিৎসকরা তার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে সুমনা।

সুমনার পরিবার জানায়, দাঁত দিয়ে পিন কামড়ে রেখে হিজাব পরছিল সুমনা। এ সময় অসাবধানতায় পিনটি তার শ্বাসনালির ভেতরে চলে যায়। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সুমনার বাবা আব্দুর রব বলেন, ‘মেয়েটিকে নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাকে সেই চিন্তা থেকে উদ্ধার করেছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই আমার মেয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে।’

সার্জন ডা. নূরুল হুদা নাঈম বলেন, ‘সুমনার শ্বাসনালিতে থেকে হিজাব পিন আটকে গিয়েছিলো। এটি বের করে আনা হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত