শাকিলা ববি

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:৩৬

নতুন রূপে সাজছে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

শহীদ মিনারের সাথে বুদ্ধিজীবী কবরস্থান চত্বরকে যুক্ত করে পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ইতোমধ্যে এর নকশার কাজ শেষ হয়েছে। শহীদ মিনারের মূল কাঠামোর সাথে বুদ্ধিজীবী কবরস্থান সংযুক্ত করে পুরো চত্বরটি আরও দৃষ্টিনন্দন করার কাজও শুরু হয়ে গেছে।

২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ‘তৌহিদী জনতা’ ব্যানারে একটি মিছিল থেকে ভাংচুর করা হয়েছিলো সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এরপর নতুন নকশায় এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। তখন শহীদ মিনারের নকশাটি করেছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শুভজিত চৌধুরী। শহীদ মিনারের বর্তমান পুনর্বিন্যাসের নকশাও করেছেন শুভজিত চৌধুরী।

শহীদ মিনারের পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শুভজিত চৌধুরী বলেন, প্রস্তাবিত নকশায় শহীদ মিনার এবং বুদ্ধিজীবী কবরস্থান চত্বর সাধারণ মানুষের জন্য একটি উন্মুক্ত এবং সহজগম্য স্থান হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে এবং চত্বরে অবস্থিত গণকবরের স্থানটি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সহজগম্যতা এবং সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে নাগরিক পরিসরে সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির একটি প্রয়াস নেয়া হয়েছে এই নকশাতে।

২০১৪ সালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উদ্যোগে সিলেট সিটি করপোরেশন ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণ করে। ‘চেতনায় আন্দোলিত ভূমি থেকে জেগে ওঠা বাঙালির আবহমান সংগ্রামী ঐতিহ্য’-এই মূল থিম (বিষয়বস্তু) ধরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসেই উদ্বোধন করা হয় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ওই সময় তৎকালীন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছিলেন, দেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার হচ্ছে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। বর্তমানে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুনর্বিন্যাসের কাজ বাস্তবায়ন করছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন, সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সাথে বুদ্ধিজীবী কবরস্থান যুক্ত করে পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। কাজ চলমান রয়েছে। দুই দিক থেকে কাজ শেষ করে সংযোগের কাজটি শেষের দিকে করা হবে। আমরা দ্রুততার সাথে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি নতুন আঙ্গিকে সাজানোর পর নগরবাসীর কাছে শহীদ মিনারটি আরও গুরুত্বপূর্ণ ও দৃষ্টিনন্দন হবে।

উল্লেখ্য, সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ৩৩ শতাংশ জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে ৮ শতাংশ জায়গার মধ্যে শহীদ মিনার স্থাপিত হয়েছে। মূল স্তম্ভের পাশাপাশি শহীদ মিনারে রয়েছে মুক্তমঞ্চ ও মহড়াকক্ষ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত