নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৭:৩৯

অনন্ত বিজয় হত্যা : আদালতে দায় স্বীকার করেছে মান্নান রাহি

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় হতার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে এই মামলায় আটক হওয়া মান্নান রাহি। আজ বুধবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের বিচারক আনোয়ারুল করিমের কাছে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় রাহি।

এদিকে এ ঘটনায় বুধবার ভোরে সিলেটের টুকেরবাজার থেকে জালালাবাদ থানা পুলিশ আবুল খায়ের নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে।
খায়েরকে বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড নেয় সিআইডি। সিআইডি তাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিলো।

গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) ভোরে সিআইডির একটি দল সিলেটের কানাইঘাটে অভিযান চালিয়ে উপজেলার পূর্ব পালজুর গ্রামের হাফিজ মইনুদ্দিনের পুত্র মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহী ও তার ভাই মোহাইমিন নোমান ওরফে এএএম নোমানকে আটক করে।

এরপর অনন্ত হত্যার মামলায় দুই ভাইকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আজ আদালতে অনন্ত বিজয় হত্যার দায় স্বীকার করে মান্নান রাহি। যে ফেসবুকে বিভিন্ন ছদ্মনামে লিখতো। তবে রাহির ভাই মোহাইমিন নোমান ওরফে এএএম নোমান দায় স্বীকার করেনি। 

হত্যার দায় স্বীকার করা মান্নান রাহী (২৪) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিল। তবে স্নাতক শেষ না করেই পড়াশোনা ছেড়ে দেয় সে। অনন্ত বিজয় দাশও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।

এরআগে গত ৭ জুন আলোচিত এই হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় একটি পত্রিকার ফটো সাংবাদিক ইদ্রিস আলী। রিমান্ড শেষে এখন জেলহাজতে আছেন ইদ্রিস।

গত ১২ মে নগরীর সুবিদবাজারে নিজ বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে। হত্যাকান্ডের পরপরই অনন্ত’র বড়ভাই রত্মেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে। পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা অনন্ত সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ও মুক্তমনা ব্লগের ব্লগার ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত