জাহিদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ

৩১ অক্টোবর, ২০১৯ ২১:৫৫

দীর্ঘ ১৫ বছর পর সম্মেলন: গোলাপগঞ্জ উপজেলা আ’লীগে প্রাণচাঞ্চল্য

দীর্ঘ ১৫ বছর পর আগামী ১৪ নভেম্বর সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসেছেন দলটির ঝিমিয়ে থাকা নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে, শীর্ষ পদ নিয়ে প্রবীণ ও নবীন নেতাদের জোড় লবিং চলছে তৃণমূল কাউন্সিলারদের সঙ্গে। পদ প্রত্যাশীদের সমর্থকরাও পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বেশ কয়েকজন কর্মী এ প্রতিবেদককে জানান, তারা উপজেলা আওয়ামী লীগকে সৎ, দক্ষ ও পরিক্ষিত নেতাদের হাতে তুলে দিতে চান।

জানা যায়, সর্বশেষ ২০০৪ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। এ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীকে সভাপতি ও রফিক উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়। দীর্ঘ সময় আর কোন সম্মেলন না হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে চলছিল। দিবসকেন্দ্রিক কর্মসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম। জাতীয় দিবস ও দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন, দু-চারটি আলোচনা সভা আয়োজনের মধ্যেই দলের সাংগঠনিক তৎপরতা আটকে ছিল। ১৫ বছর ধরে মূল দলের সম্মেলন না হওয়ায় সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রমেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন- বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান। বর্তমান সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরী সভাপতি পদে লড়বেন কি না এখনো জানা যায়নি। তবে এ পদে তিনি প্রার্থী হলে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের সম্মানে সভাপতি পদ থেকে অন্যরা সরে যাবেন বলে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জানিয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে পদ প্রত্যাশীদের তালিকা অনেক দীর্ঘ। মূলত এ পদ নিয়েই লড়াই হবে প্রার্থীদের মধ্যে। এ পদে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ নুতন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অজিউর রহমান ছানা, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী ফখর, উপজেলা আ’লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রুহিন আহমদ খান, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা আর্জমন্দ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াদুদ এমরুল। তবে এ পদের তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারেও বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রিংকু বলেন, অতীতের সকল কর্মকান্ড দেখে সৎ যোগ্য ও সাংগঠনিক দক্ষ লোকের হাতে যেন কাউন্সিলররা গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগকে তুলে দেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। সেই সাথে আমায় যোগ্য মনে হলে তারা যেন আমায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াদুদ এমরুল বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণ নের্তৃত্বের কাছে আওয়ামীলীগকে তুলে দিতে চান। এজন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছি। যারা বিগত দিন আওয়ামীলীগের পদ পদবী ব্যবহার করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে। আমি কাউন্সিলরদের সহযোগীতা কামনা করি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত