মাধবপুর প্রতিনিধি

২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:৫০

মাধবপুরে এসএসসি ফরম পূরণে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিলেও দেওয়া হচ্ছেনা কোন ধরনের রশিদ।

খোজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৭টি এবং মাদ্রাসা ৫টি। প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় আগামী ২০২০ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি বিষয়ের জন্য ১শ টাকা পরীক্ষার ফি, ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি ৩০টাকা, একাডেমিক ট্র্র্র্র্রান্সক্রিপ্ট ৪০, সনদের জন্য ১শ, স্কাউট ১৫, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ৫, রেড ক্রিসেন্ট ২০, বিএনসিসি ৫ অনলাইন ফি ৫ এবং উন্নয়ন ফি বাবদ ৫৫টাকা হারে বিজ্ঞান শাখার নিয়মিত শিক্ষার্থীদের  ১৯৭০ এবং মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় ১৮শ ৫০ টাকা নির্ধারিত করে দিলেও তা অমান্য করে দ্বিগুণ তিনগুণ অর্থ আদায় করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

উপজেলার সদ্য এমপিও ভুক্ত জরিফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী , সাউথ কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ও বঙ্গবীর ওসমানী এবং  বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর, বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী মিঠুন, বাণিজ্যিক শাখার তুলি আক্তার, বিজ্ঞান শাখার রাসেলসহ অনেক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাদের ৩৪শ, ৩৫শ টাকায় ফরম পূরণ করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বঙ্গবীর ওসমানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক আহেম্মেদ জানান মানবিক শাখায় ১৯শ টাকার সাথে সেশন ফি ৫শ, সেন্টার ফি ৪শ এবং আইসিটি ফি ৩০টাকা নেওয়া হচ্ছে।

সৈয়দ সঈদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত টাকার সাথে স্কুলের ২ মাসের বেতন ২৬০টাকা, সেন্টার ফি ৪শ, আইসিটি ২৫ এবং অনলাইন ফি ১০টাকা আদায় করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে ২হাজার ৭০ টাকার সাথে কোচিং ফি বাবদ ২৫শ আদায় করার বিষয়ে মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি স্কুলে গিয়ে খোজ নিতে বলেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন জানান, আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র বাইরে যেন কোন টাকা আদায় করা না হয়। অতীতের পাওনা থাকলে তা ফরম পূরণের টাকার সাথে যেন যোগ না করে। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত