নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:৪৭

১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান, উৎসবমুখর নগরী

সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন আজ

নাম ‘ত্রিবার্ষিক সম্মেলন’। তার মানে তিন বছর পরপর হওয়ার কথা। অথচ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিলো ২০০৫ সালে। এরমধ্যে ১৪ বছর পেরিয়ে গেছে। আর সম্মেলন হয়নি। সর্বশেষ কমিটি হয়েছিলো ২০১১ সালে। ঢাকা থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো সে কমিটি। তাও পেরিয়ে গেছে ৮ বছর। তিনবছর মেয়াদী কমিটি দিয়েই চলছে এতদিন।

অবশেষে সিলেট আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে। ১৪ বছর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে আজ (বৃহস্পতিবার)।

দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। আর পুরো নগরীতে বিরাজ করছে উৎসবের আবহ। তোরণ-ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নগরী। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় করা হয়েছে আলোকসজ্জা। সবমিলিয়ে এক উৎসবের আমেজ।

সম্মেলনকে সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতারা। সম্মেলনে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে সিলেটে আসবেন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন,  আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় অনিন্দ্য, অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান প্রমুখ।

মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পর সিলেটে আওয়ামী লীগের কমিটি করতে না পারায় সম্প্রতি সিলেট সফরে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই সিলেটে সম্মেলন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ওই নির্দেশনার পর নড়েচড়ে বসেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ ৫ ডিসেম্বর এবং মহানগর আওয়ামী লীগ ৩০ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে। পরে কেন্দ্রের নির্দেশে মহানগরের সম্মেলন ৪ ডিসেম্বরে নেওয়া হয়। এরপর আবারও কেন্দ্রের নির্দেশে উভয় শাখার সম্মেলন একসাথে ৫ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

এই সম্মেলনকে সফল ও সুন্দর করতে ১ মাস আগে থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা। ইতোমধ্যে ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সারা সিলেট শহর। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা দলের বর্ধিত সভা, কর্মী সভা, প্রস্তুতি সভা শেষ করেছেন। নেতা কর্মীদের তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। গত ৩ দিন যাবত সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

দীর্ঘ দিন পর সম্মেলন হচ্ছে তাই এবার নেতাকর্মীদের  মধ্যে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা বেশি বলে মন্তব্য করেছেন সম্মেলনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কর্মী জানান, দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হচ্ছে তাই আমাদের মধ্যে উচ্ছ্বাসটা একটু বেশি। নিজের প্রিয় নেতা ও দলকে নিয়ে ভালবাসা প্রকাশের সুযোগ সব সময় আসে না। তাই আমরা আনন্দ মিছিল, মোটরবাইক শোভাযাত্রা, ব্যানার, ফেস্টুন লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রিয় নেতাদের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করছি।

সম্মেলনের প্রস্তুতির ব্যাপারে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, সম্মেলন সফল ভাবে করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনস্থলের মঞ্চ, প্যান্ডেল, সাজসজ্জার কাজও শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরাও তাদের আসার সময়সূচী জানিয়েছেন। এখন তারা যেভাবে চাইবেন সেভাবেই সম্মেলন সম্পন্ন হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত