সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৭:৫৫

সিলেটে বইপড়া উৎসবের উদ্বোধন হচ্ছে ২১ ডিসেম্বর

সিলেটে ইনোভেটরের আয়োজনে এক হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে জেলা পরিষদ বইপড়া উৎসবের উদ্বোধন হচ্ছে আগামী ২১ ডিসেম্বর শনিবার। ঐদিন বেলা ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ উৎসবের সূচনা হবে। এ সময় নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে।তরুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার প্রত্যয়ে ইনোভেটর এর উদ্যোগে বইপড়া উৎসবের  ত্রয়োদশ আসর এটি। জেলা পরিষদ, সিলেট এবারের আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করছে।

জানা যায়, বইপড়া উৎসবে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এতে সিলেট মহানগরীর পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা নাম নিবন্ধন করেছে। এ ব্যাপারে বইপড়া উৎসবের উদ্যেক্তা, ইনোভেটরপ্রধান রেজওয়ান আহমদ এবং প্রণবকান্তি দেব জানান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার প্রতি তারুণ্যের এ আগ্রহ - উচ্ছ্বাস আমাদেরকে আশাবাদী করে। তিনি জানান, মোট ৯৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৭জন শিক্ষার্থী এবার বইপড়ার মহোৎসবে অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, মাদ্রাসা এবং প্রতিবন্ধী ও সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা রয়েছে। প্রণবকান্তি বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেয়া হবে।

এদিকে, রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রমের পর বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি চলছে। ইনোভেটর এর পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন উপকমিটি। অনুষ্টান সফলে চলছে নিয়মিত প্রস্তুতিসভা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতের জন্য নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। আয়োজক সুত্রে জানা গেছে, বইপড়া উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেটসহ দেশের শিল্প, শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত থাকবেন। এ

দিকে, বইপড়া উৎসবের সহযোগী জেলা পরিষদ, সিলেট এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ জানান, আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলার প্রয়াসেই এই বইপড়া উৎসব। তিনি শিক্ষার্থীদের ২১ ডিসেম্বর যথাসময়ে সিলেট শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে বই গ্রহণের আহবান জানান।

" জ্ঞানের আলোয় অবাক সূর্যোদয় / এসো পাঠ করি/ বিকৃতির তমসা থেকে / আবিষ্কার করি স্বাধীনতার ইতিহাস " শ্লোগানকে সামনে রেখে বইপড়া উৎসব শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে। তরুন প্রজন্মের ব্যাপক উৎসাহের কারণে উৎসবটি এর পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের বই নিয়ে  বাংলাদেশে এটাই একমাত্র আয়োজন যা গত তেরো বছর যাবৎ চলে আসছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত